বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
কাউনিয়া পিছনের স্কুল এলাকায় মাদক বাণিজ্য জমজমাট

কাউনিয়া পিছনের স্কুল এলাকায় মাদক বাণিজ্য জমজমাট

ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল নগরীর কাউনিয়া পিছনের স্কুল এলাকায় এখনো চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য। কাউনিয়া থানা এলাকা থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের পথ হলেও ওই এলাকায় সব সময়ই থাকে মাদকের ব্যবসা রমরমা। প্রশাসন সব জানে তবে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর। তারা আরো জানে যদি সিনিয়র কোন অফিসার ফোন করে ওসি সাহেবকে আসামী আটকের জন্য বলেন। এই যখন কাউনিয়ার অবস্থা তখন মাদক উদ্ধারে প্রশাসন কতটা তৎপর সেটিই এখন দেখার বিষয়।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা নুরানী মসজিদের সামনের আঃ খালেক হাওলাদারের ছেলে শাহিনের নেতৃত্বে চলে মাদক ব্যবসা। আর তার সহযোগি হিসেবে কাজ করছে একই এলাকার মোঃ মঞ্জুর ছেলে মোঃ সোহেল ও কুট্টি, মোঃ কবির হাওলাদারের ছেলে রবিন, মোঃ সেকান্দার আলী হাওলাদারের ছেলে মাইনুল, মোঃ ঝন্টু আকনের ছেলে বাপ্পি ও মোঃ আলাউদ্দিন মিযার ছেলে সজিব। এরা ওই এলাকায় কাঁচা মালের মতো ঘুরে ঘুরে মাদক নামের বিষ বিক্রি করে। তাদের রুখবে কে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তাদের খোঁজে ওই এলাকায় দখিনের খবর পত্রিকার এই প্রতিবেদক তথ্য নিতে গেলে জানা যায়, তাদের মাদক বিক্রির কাহিনী। তারা ওই এলাকায় এমন অপকর্ম পরিচালনা করলেও প্রশাসন ও স্থানীয় কাউন্সিলর তেমন ভুমিকা পালন করছেন না। ফলে তারা আরো বেপরোয়া। তাদের সাথে আরো রয়েছে পিছনের স্কুলের কাওসার। সে নিজেকে সুফি বলে দাবি করলেও প্রকৃত পক্ষে কাওসার নিজেই মাদক বিক্রির সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে। দেশের সকল স্থানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকলেও কাউনিয়ায এর রূপ উল্টো। মোঃ সোহেল, রবিন, মাইনুল, কুট্টি, বাপ্পি ও সজিব মিলে যে মাদক বিক্রি করে তার একটি অংশ দিয়ে শাহিন গোটা প্রশাসন ম্যানেজ প্রক্রিয়া করতো। যে কারনে তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ ওই এলাকায় ব্যবসা করে আসছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাশাসনের জোড়ালো অভিযানে তারা একটু গা ছাড়াভাবে চলছে। তবে মাদক বিক্রি কমায়নী। যেহেতু সামনে ঈদের মৌসুম তাই ওই সব মাদক বিক্রেতারা নিজেদের আড়াল করে ছিঁচকে মাদক বিক্রেতাদের দিয়ে তাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানা থেকে বলা হচ্ছে অভিযান চলছে। সকল মাদক বিক্রেতারা আইনের আওতায় শিঘ্রই চলে আসবে। কিন্তু আশানোরুপ মাদক ব্যবসায়িদের এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি । কারন আটকের আগেই অনেকে আদালতে আতœসমর্পন এবং অসুস্থ হয়ে শেবাচিমে ভর্তি রয়েছে। তবে কাউনিয়া পিছনের স্কুল এলাকার ওই ব্যবসায়িরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে নিজ এলাকায়ই। তাদের টার্গেট ঈদকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমান মাদক বিক্রি করা। যেহেতু বরিশালের বড় বড় মাদক বিক্রেতারা কেহ জেলে আবার কেহ আটকের ভয়ে বরিশালের বাহিরে থাকার এই সুযোগটিই নিতে চাচ্ছে ওরা। যাতে করে ঈদ সামনে রেখে মাদকের চালানটির টার্গেট নিয়েই কাউনিয়া এলাকায় প্রশাসনের ভয়ে বর্তমান চুপটি মেরে বসে আছে। অপর দিকে দোকানদার কাওসারও রয়েছে একই অবস্থায়। নিজে প্রশাসনের ভয়ে বর্তমানে ঘাপটি মেরে বসে থাকলেও সেও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি। মাইনুল, সোহেল, কুট্টি, বাপ্পিসহ তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রযেছে একাধিক মামলা। যার প্রমান সর্বশেষ গতকাল সকালে কাউনিয়া ১ নং ওয়ার্ডের সরদারকান্দার নিজ বাসার সামনে বসে এক লোককে গুরুত্বহীন কারন ছাড়া মারধর করে। তাই ওই এলাকার সাধারন মানুষের দাবি ওই মাদক বিক্রেতাদের এখনি আইনের আওতায় আনা উচিৎ। তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্থি পাবে স্থানীয় বসিন্দারা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com