শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
তালতলীতে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার পর বাবা-মাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিলেন ছেলে

তালতলীতে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার পর বাবা-মাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিলেন ছেলে

আমতলী প্রতিনিধি ॥ সম্পত্তি লিখে দিয়েও রক্ষা পায়নি বৃদ্ধ বাবা-মা। মারধর করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি মা ছকিনা বেগম (৭০) ও বৃদ্ধ বাবা আব্দুল হাফেজ আকনকে (৮০) বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন ছেলে মাহাবুবুল হক খোকন। আহত বাবা-মাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে তালতলী উপজেলার ছোটভাইজোড়া গ্রামে। জানাগেছে, উপজেলার ছোট ভাইজোড়া গ্রামের আব্দুল হাফেজ আকনের এক’শ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমিতে বাড়ী-ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে দুই ছেলে। গত পাঁচ বছর পূর্বে মা ছকিনা বেগম চোখের আলো হারিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি হয়ে যান। এতে স্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়ে বৃদ্ধ আব্দুল হাফেজ। ছেলেরা তার বাবা-মায়ের দেখভাল ও ভরণ পোষন দিচ্ছে না। খেয়ে না খেয়ে প্রতিবন্ধি স্ত্রীকে নিয়ে দিনাতিপাত করেন বৃদ্ধ আব্দুল হাফেজ।
সংসারের বোঝা বহন করতে না পেরে বড় ছেলে মো. মাহবুবুল হক খোকনের কাছে জমি বিক্রির প্রস্তাব দেন বৃদ্ধ বাবা। জমি বিক্রির প্রস্তাব পেয়ে বড় ছেলে বাবা-মাকে নিজের ঘরে তুলে নেন। গত এক বছর ধরে বাবা-মাকে দেখভাল করেন খোকন। বাবা-মাকে দেখভাল করার সুবাদে ছেলে বাবাকে জমির দলিল দিতে বলে। কিন্তু বাবা এতে রাজি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয় ছেলে খোকন ও তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম। এরপর বাবা-মায়ের প্রতি নেমে আসে নির্যাতন। ছেলে খোকন তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম প্রায়ই বাবা-মাকে মারধর করে এমন অভিযোগ বাবা আব্দুল হাফেজ আকনের। ছেলের নির্যাতন সইতে না পেরে ৩৬ শতাংশ জমি বাবা আব্দুল হাফেজ ছেলে খোকনকে লিখে দেন। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট হয়নি ছেলে খোকন। পরে বাবার অবশিষ্ট জমি লিখে দিতে বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে খোকন। গত দুই মাস আগে ওই জমিও ছেলে লিখে নেন এ অভিযোগ করেন বাবা আব্দুল হাফেজ আকন। ছেলেকে জমি লিখে দিয়েও রক্ষা পায়নি বাবা-মা। সমুদয় জমি লিখে নেওয়ার পরে তাদের উপর নেমে আসে অমানষিক নির্যাতন। কথায় কথায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারধর করে ছেলে খোকন, ছেলের বউ সুফিয়া ও নাতনি মনি আক্তার। মঙ্গলবার রাতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ছেলের বউ সুফিয়া বেগম ও নাতনি মনি আক্তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধি শ^াশুড়ী ছকিনা বেগম ও শ^শুর আব্দুল হাফেজ আকনের উপর হামলা চালায়। পুত্রবধু ও নাতনির হামলায় বৃদ্ধ দু’জন গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা তথ্য সেবা কেন্দ্র নিয়ে আসেন। পরে তথ্য অফিসার সংগীতা সরকার তাদের তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়।
কান্নাজনিত কন্ঠে বৃদ্ধ আব্দুল হাফেজ বলেন, মোর সব জাগাজমি লেইখ্যা নিয়া মোর পোলায়, পোলায় বউ ও নাতনি এ্যাকছের মোরে ও মোর অন্ধ বউরে মারে। পোলার বউ ও নাতি মাইর‌্যা মোগো ঘরে গোনে লড়াইয়্যা দেছে। মোরা এইয়্যার বিচার চাই। এ বিষয়ে ছেলে মাহবুবুল হক খোকনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম শ^শুর-শ^াশুড়ীকে মারধর ও নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা জমি লিখে নেয়নি। শ^শুর টাকার বিনিময়ে জমির দলিল দিয়ছে। তবে গতকাল আমার শ^শুর-শ^াশুড়ীর সাথে আমার মেয়ের জামেলা হয়েছে। এ বিষয়ে শালিশ বৈঠকের কথা চলছে। তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফাইজুর রহমান বলেন, বৃদ্ধ আব্দুল হাফেজের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী ও তার স্ত্রী দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ছকিনা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে শুনেছি পারিবারিকভাবে এ বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা চলচে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com