পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি

সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে অথচ সেই গুণাবলিকে জলাঞ্জলি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শার্ষীনা গ্রামের বউ  শাবানার (৩০) বিরুদ্ধে। স্বরূপকাঠি পৌরসভার হত দরিদ্র পরিবারের সন্তান মোঃ আরিফের স্ত্রী শাবানা । গত ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় ইসলামি শরীয়া আইন মোতাবেক। চাখারের আহম্মেদ হাওলাদারের মেয়ে শাবানার সাথে বিয়ে হয় গত ১৫ বছর আগে । বিয়ের পর থেকেই মোটামুটি ভালোই চলছিল আরিফ ও শাবানার সাজানো গুছানো সংসার। অবশ্য শত অভাব অনটন থাকা সত্বেও আরিফ তার সহধর্মিণীকে বুঝতে দেয়নি সমস্যার কথ ।বিয়ের কয়েক বছর পর শাবানা ও আরিফের সংসারে একটা ফুটফুটে মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। পরবর্তী সময়ে আবারও তিন বছর পর  এই দম্পত্তির কোল জুড়ে একটা ছেলে সন্তান আসে। ছেলের নাম রাখেন ওমর ফারুক। তবে প্রথম কণ্যা সন্তানের নাম রাখেন বাংলা  সিনেমার নায়িকার নাম অনুসারে শাবনাজ। আর এভাবেই চলছিল বছরের পর বছর সাজানো গুছানোর সংসার।                                              এদিকে আরিফের ঘরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝর আসে স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে।  আর সেই কালবৈশাখী  ঝড়ের  খল নায়ক  আরিফের প্রতিবেশী শার্ষিনা গ্রামের  মোঃ সরোয়ার হোসেন সুমন (৩০)। লম্পট চরিত্রের অধিকারী মোঃ সুমন গ্রামের মধ্যে  সবচেয়ে বিতর্কিত। এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আরিফ ও শাবানার সুন্দর সংসারকে তছনছ করার  গুরুতর  অভিযোগ উঠেছে নষ্ট চরিত্রের সুমনকে নিয়ে। এলাকার কাউন্সিলর সহ সাবেক কাউন্সিলও সুমন ও শাবানার পরকিয়ার বিষয়ে অবগত। তবে সবচেয়ে বড় প্রমাণ আরিফের নিস্পাপ ছেলে ওমর ফারুক। শাবানার ও সুমনের অনৈতিক শারীরিক সম্পর্ক দেখে ফেলে ওমর। পরবর্তী সময়ে ঘটনার কথা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সুমন ওমরকে বহু উপহার সামগ্রী দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু ওমর পরবর্তী সময়ে তার বাবাকে বিস্তারিত সকল কথা খুলে বলেন। সব কিছু শোনার পর স্বামী আরিফ তার সহধর্মিণীকে সকল বিষয়ে খুলে বলে। ভালো হওয়ার পরামর্শ দেন তার স্ত্রী শাবানাকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে স্ত্রী ভালো না হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে সুমনের অর্থের মোহের করনে।  কঠিন ভাবে নিমজ্জিত হয়ে মাসের পর মাস অবৈধ সম্পর্ক করে যাচ্ছে বীরদর্পে শাবানা ও সুমন।স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে আর এক নাগর আরিফের শশুর বাড়ীর দেলোয়ারের কুলাঙ্গার ছেলে মোঃ রাসেলের সাথে ।এদিকে  শাবানা পরকিয়ার খল নায়কদের সাথে গোপন বৈঠক করে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা হামলার প্ল্যান করে। আর সেই সূত্র ধরেই গত ০৫/১১/২০২০ তারিখে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বরিশাল জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে। আদালতের গত কালের শুনানিতে আরিফের মেয়ে মায়ের কুপরামর্শে নিজ বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ পেশ করেন। শাবনাজ তার জবান বন্দিতে তার বাবা তাকে  জোর করে প্রায় দশদিন শারীরিক সম্পর্ক করে বলে জানান।  বিজ্ঞ আদালতে কঠিন জেরার মুখে সাক্ষী আরিফের মেয়ে শাবনাজ শেষমেশ  স্বীকার করেন তার মায়ের শেখানো কথা কোর্টে বলেন।অপর দিকে কোর্ট এরিয়ায় দ্বিতীয় পরকিয়ার খল নায়ক রাসেলকে পুলিশ কৌশলে ধরে ফেলে। পরবর্তী সময়ে কোর্টের আঙ্গিনায় রোদ্দুরে শাস্তি স্বরূপ   এক পায়ে দাড়িয়ে রাখেন। আর আরিফের স্ত্রী শাবানাকেও দারুণ ভাবে ধিক্কার জানায়।

                    এদিকে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন আরও জানায়, লম্পট চরিত্রে সুমন হীন স্বার্থের জন্য শাবানার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের পর এবার আরিফের স্ত্রী শাবানার মেয়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক  গড়ে তোলে কৌশলে। মজার বিষয় স্কুল পড়ুয়া কিশোরী বালিকা শাবনাজ গভীর ভাবে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে কুন্ঠা বোধ করেননি সম্পর্কে বাবার চাচতো ভাই কাকার সাথে। নিজ মায়ের প্রেমিকের সঙ্গে মেয়ে হয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে চাখারের বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আসলেই আমাদের এলাকায় শাবানার পরকিয়া সর্বজন স্বীকৃত। কিন্তু পরবর্তী সময়ে শাবানা তার এলাকার রাসেলের সাথে নুতন করে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার পর মেয়ে শাবনাজ সুমনের সাথে শারীরিক ভাবে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে জানান।                                                                                         সরেজমিনে চাখার এলাকায় গিয়ে আরও বহু তথ্য সংগ্রহ করেন অন লাইন  চুঙ্গা টিভির ক্যামেরাম্যানরা। ইচডে পাকা শাবনাজ মাকেও হার মানিয়ে এলাকায় চরম নিন্দিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে  সর্বত্র। অথচ নিজ বাবার বিরুদ্ধেও মিথ্যা সাক্ষী দিতে একটি বারও ভাবেননি। এ ব্যাপারে আরিফের সাথে কথা হয় মিডিয়ার সাথে। তিনি কান্নারত ভাষায় বলেন, আমার স্ত্রীর পরকিয়া সত্যি সত্যিই চরম লজ্জার। আমার স্ত্রীকে ভালো হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু উল্টো শাবানা আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে পরকিয়ার খল নায়কদের নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আমার মেয়েও আমার বিরুদ্ধে কুৎসিত অপবাদ দিতেও কার্পণ্যতা বোধ করেননি। আমি কঠিন শাস্তির দাবি জানাই। অপর দিকে পরকিয়ার নায়িকা শাবানার সাথে মুঠোফোনে কথা হয়।এক পর্যায়ে গণ মাধ্যম কর্মীদের পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়। তবে ইচডে পাকা মেয়ে মিডিয়ার কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। অপর দিকে লম্পট সুমনের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ স্বরূপকাঠিবাসীরা। শর্ষিনাবাসীরা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, সুমন আমাদের এলাকায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের লোক। আর রাসেলের বিষয়ে চাখারবাসীরা জানান, আমাদের এলাকায় রাসেল নারী পটানোর মহা নায়ক।                                                সর্বশেষ তথ্য মতে নেছারাবাদ উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ চায় পরকীয়ার খল নায়ক ও নায়িকা সহ ইচড  পাকা মেয়ের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক। আর হত দরিদ্র পরিবারের আরিফ সকল মিথ্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাক।