রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
স্বাধীনতার ডাক

স্বাধীনতার ডাক

গতকাল ছিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির জীবনে দিনটি চির অম্লান, অমলিন। বিশ্বের বুকে যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতি বেঁচে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত থেকে যাবে ৭ মার্চের মহিমা ও দীপ্তি, যা চির ভাস্বর ও সমুজ্জ্বল ইতিহাসের পাতায়। কেননা, এদিন অপরাহ্নে রাজনীতির এক মহান কবি আসবেন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে, অধুনা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁর প্রিয় দেশবাসীর উদ্দেশে সেই সুমহান, অগ্নিগর্ভ ও বজ্রতুল্য ভাষণ উপহার দিতে। যে ভাষণে সুনিশ্চিত প্রকম্পিত হবে পাকিস্তানী সামরিক স্বৈরশাসক একনায়কের ভীত। অনিবার্য ও অমোঘ হয়ে উঠবে বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির বহু প্রতীক্ষিত ও কাক্সিক্ষত অমল ধবল স্বাধীনতা, লাল-সবুজ পতাকা। ঐতিহাসিক সেই ভাষণের প্রতিটি শব্দ সুললিত, সুনির্বাচিত, সুগম্ভীর, সুতীক্ষ্ণ, অগ্নিস্ফুলিঙ্গতুল্য- সব মিলিয়ে যা একটি অবিচ্ছিন্ন, অদ্বিতীয় বজ্রভাষণ বা বজ্রনিনাদ। প্রকৃতপক্ষে যা শুধু বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতিকে অনিবার্য স্বাধীনতার ডাকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেনি, বরং অচিরেই যা হয়ে উঠেছিল বিশ্বের শত কোটি মানুষের মুক্তি সংগ্রামের আলোকবর্তিকা। অতঃপর সেই অগ্নিঝরা ভাষণের অনিবার্য স্থান হলো বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণের তালিকায় বৈশ্বিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে। অমলিন সেই ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সের জনসভায় বাঙালীর আকাক্সিক্ষত স্বপ্নের বাণী উচ্চারণ করেছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তাঁর এই ভাষণকে বিশ্বের ইতিহাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বলে গণ্য করা হয়। এই ভাষণই বাঙালী জাতিকে প্রস্তুত করেছিল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেই ভাষণ প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা সংগ্রামে শরিক হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানী শাসকদের সঙ্গে নিয়মতান্ত্রিক আলোচনার পথ থেকে পিছিয়ে যাননি। এটা নিঃসন্দেহে তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে। কিন্তু পাকিস্তানী হানাদাররা বাঙালী জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথমে তারা আঘাত হেনেছে বাংলা ভাষার ওপর। উর্দুকে তারা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার কথা ঘোষণা করেছিল। ১৯৪৮ সাল থেকেই পাকিস্তানী শাসকদের এ ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পূর্ববঙ্গের মানুষ তীব্র প্রতিবাদ জানায়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে প্রাণ দিতে হয় এদেশের মানুষকে। বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিকসহ অনেককে ভাষার জন্য জীবন দিতে হয়। কিন্তু আন্দোলন থেমে থাকেনি। বরং পাকিস্তানীদের অন্যায় শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে এখানকার গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্বাধিকার আন্দোলনে রূপ নেয় এবং তা ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে। বস্তুত ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তার একটি বিশাল ও রক্তক্ষয়ী পটভূমি রয়েছে। ১৯৪৭ সালের পর ২৩ বছরের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। এজন্য এ দেশের মানুষকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার গর্বে উন্মাতাল পাকিস্তানী শাসকরা কখনও উপলব্ধি করেনি যে, এভাবে অন্যায়-জুলুমের মধ্য দিয়ে কোন সচেতন মানবগোষ্ঠীকে দাবিয়ে রাখা যায় না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রমনা রেসকোর্সের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর চিরায়ত ভাষণের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের ভবিষ্যত নির্ধারিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মানুষ শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে শান্তিপূর্ণভাবে-নিয়মতান্ত্রিক পথে সমস্যা সমাধানের। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতে বিশ্বাসঘাতক পাকিস্তানী হানাদাররা সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর। সেদিন ‘যার যা আছে তাই নিয়ে’ এ দেশের মানুষ হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের নিরন্তর সশস্ত্র সংগ্রামের পর বিজয়ী হয় বাঙালী জাতি। তাই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের গুরুত্ব আজও অম্লান। মূলত ৭ মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা এবং একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জনের নির্দেশিত পথ। যতকাল বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডটি অক্ষয় থাকবে ভূমন্ডলে, ততকাল বেঁচে থাকবেন তার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাসে চির অম্লান ও উজ্জ্বল হয়ে থাকবে ৭ মার্চের এই বজ্র ভাষণ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com