শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
উনি পুরা ফাঁইসা গেছে, মামুনুল হক প্রসঙ্গে সেই নারী

উনি পুরা ফাঁইসা গেছে, মামুনুল হক প্রসঙ্গে সেই নারী

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে তার সেই নারীসঙ্গী জান্নাত আরা ঝর্ণার একটি ফোনালাপে। সোনারগাঁওয়ের স্থানীয় এক হেফাজত নেতার সঙ্গে ঘটনার দুই দিন পর প্রায় আট মিনিট ১১ সেকেন্ড কথা বলেন ঝর্ণা। ঘটনার দিন স্থানীয় জনতা তাদের ঘেরাও করার সময় কে কী বলেছিলেন এবং এর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহও উঠে এসেছে তাদের কথোপকথনে। আলাপে ঝর্ণা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, মামুনুল হক কারও কারও কাছে তাকে না চেনার বিষয়ে বলেছেন। এতে তিনি বিপদে পড়ে যেতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন। আলাপে মামলা করা প্রসঙ্গে ওই নারী বলেন, ‘আচ্ছা কীসের জন্য মামলা করবেন? এইটা মিটাবে কীভাবে? এটা তো সরকার, থানাতে গেলে তো ডকুমেন্ট চাইবে। তখন কীভাবে কী করবেন?’ নামের বিষয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণা ওই হেফাজত নেতাকে বলেন, ‘এই বিষয়টা আমি ভালো করে আপনাকে ক্লিয়ার করতেছি। যেটা হচ্ছে যে হুজুর যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসছিল, যখন হুজুর প্রথম… একদম প্রথম দফা তারা যখন জেরা করতেছিল, তখন সে বলছে আমার স্ত্রীর নাম হচ্ছে আমেনা তৈয়বা। ঠিক আছে। তারপর যখন তারা চলে গেল, টিএনও সাহেব আসলো, এসআই আসলো, সাংবাদিকদের সবগুলারে বের করে দিল, তখন আমি শুনতেছিলাম যে হুজুর বলছে যে এটা আমার সেকেন্ড ওয়াইফ। আমি বিয়ে করেছি আমি কোনো অবৈধ কিছু করি নাই। যখন তিনি সেকেন্ড ওয়াইফ বলছে তারপর আমাকে জেরা করা হইছে। এখন আমি কীভাবে ফেইক বলি। আমি তো তার বাবার নাম জানি না। আমি কী করে কী বলব, বলেন? আমাকে তো আলাদা জেরা করছে। এটা নিয়ে লাস্টে কী…’ বোরকার রং নিয়ে যে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে সেই প্রসঙ্গে মামুনুল হকের সেই নারীসঙ্গী বলেন, ‘ব্লু কালারের ওপরের খিমারটা (হিজাব) ছিল, নিচের কালারটা ছিল কালো কালার। এইটা লাস্টে কী হইতে পারে? আপনার কী ধারণা হচ্ছে?’ উত্তরে সেই হেফাজত নেতা বলেন, ‘আমাদের ধারণা এখন মানে আমার যেইটা এখন… এগুলা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলেই আরও বেশি সমস্যা। হুজুরে এখন আসবে শুনছি, আমি যেভাবে পারছি যে হুজুর এই মুহূর্তে সোনারগাঁও না আসাটা ভালো। আসার দরকার নাই। যতটুকু হইছে হইছেই। কারণ এখানে ক্ষয়ক্ষতি তো কম হয় নাই। কারণ জিনিসটা আরও বাড়বে। মানে প্রশাসনের সঙ্গে আমরা যুদ্ধ কইরা এই মুহূর্তে পারব না। যতটুকু করছি ততটুকুই আল্লাহ উদ্ধার করতে পারছে দুই জনকে। এইটাই বেটার ছিল।’ কথোপকথনে জান্নাত আরা ঝর্ণা ওই হেফাজত নেতাকে বলেন, ‘আপনারা যা বলতেছেন, আমার মনে হইতেছে উনি (মামুনুল হক) পুরা নিজে ফাঁইসা গেছে।’ জবাবে হেফাজত নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন আমরা এত মর্মাহত, এত কষ্টে আছি। ভাবছি, উনি তো বিপদেই আছে, উনি কেমন কষ্টে আছে। এখন আমরা কিছু করতে পারতেছি না। আমি হ্যাং হয়ে গেছি। বুঝছেন না? আর আপনি কোনো সমস্যা নাই তো না?’ জবাবে ঝর্ণা বলেন, ‘এখন কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু আপনাদের মুখ দিয়ে যা শুনতেছি এভাবে যদি বলে তাহলে তো আমি আমার মানে প্রবলেমে পড়ে যাবো।’ ঝর্ণা ও হুজুরদের বক্তব্যে যেন ‘অমিল’ না থাকে উল্লেখ করে ওই নারী আরও বলেন, ‘আমার কথা আর হুজুরের কথা এক থাকতে হবে। কিন্তু সে এখন একেকজনের কাছে একেক কথা বলতেছে। সেইগুলা ফাঁসও হয়ে যাইতেছে। তাহলে আমার কথা আর তার কথা কি এক থাকবে? উনি একসঙ্গে কেন অটল থাকতে পারল না? টিএনও সাহেব যখন বলল, যখন ওসি সাহেবকে বলল, আমি রেকর্ড করে রাখতে পারি নাই। তখন সাংবাদিক ছিল না। তখন উনি যখন এই কথাগুলো বলল, তখন উনি এই কথাগুলোর ওপর অটল থাকলেই তো হয়ে যেত। সত্যর জানেন সবসময় না জয় হয়, আর মিথ্যার সবসময় অপমৃত্যু হয়। উনি কেন মিথ্যার আশ্রয় নিলো?’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com