শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
দক্ষিণাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট, জরুরি পদক্ষেপ দাবি

দক্ষিণাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট, জরুরি পদক্ষেপ দাবি

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে সাধারণত বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় এমনকি শিলাবৃষ্টির আগমনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলা বর্ষ শুরু হয়। কিন্তু এরই মধ্যে বাংলা নববর্ষ -১৪২৮ এর দ্বিতীয় সপ্তাহ চললেও দেশের অধিকাংশ জায়গায় খুব কমই বৃষ্টিপাত হয়েছে, এমনকি অনেক জায়গায় এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখাই মেলেনি । যা এই বছরে অস্বাভাবিক বলে প্রতিয়মান হচ্ছে । এর ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস, পানির ঘাটতি ও খাবার পানির অভাব দেখা দিচ্ছে এবং বিশেষত উপকূল অঞ্চলের জেলাগুলোর পানিতে লবণাক্ততার হার বেড়ে যাচ্ছে। সাতক্ষীরা ও বরগুনার মতো বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় জেলাগুলো মারাত্মক পানির সংকটে পড়েছে। লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে পুকুরের মতো মিঠা পানির উৎস শুকিয়ে যাচ্ছে, এবং টিউবওয়েলে পানিও দিন দিন কমে আসছে। দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে বেড়েছে ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়,জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক,ইউরিন্যাল ইনফেকশান, চর্মরোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, যৌনাঙ্গে চুলকানি, ঘা এর মতো রোগ। নারীদের মধ্যে এই সকল রোগের প্রাদূর্ভাব বেশি দেখা দিচ্ছে যা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন টিউমার এবং জরায়ু ক্যান্সারে রূপান্তরিত হচ্ছে। মার্চ-এপ্রিল মাসে পানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ২ টি ইউনিয়ন- ভাড়াশিমলা ও মথুরেশপুর এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের দিকে তাকালে দেখা যায় কম বৃষ্টিপাতের ফলে সেখানকার পুকুরের পানির স্তর হ্রাস পেয়েছে। ফলে পুকুরের সাথে সংযুক্ত পন্ড স্যান্ড ফিল্টার অকেজো হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ এর বিভিন্ন পুকুরে দেখা দিয়েছে ব্যাঙাচির আধিক্য। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য এই অঞ্চলের দশটির বেশি গ্রামের ছয় শতাধিক পরিবারের মানুষ এই উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করে থাকেন। এই ব্যাপারে নারায়নপুর গ্রামের রহিমা খাতুন বলেন পানির আর কোন উৎস না থাকায় তারা এই পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করছেন। পানি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ এর দায়িত্ব প্রধানত নারীদের উপর বর্তায় । যখন পানির অভাব দেখা দেয় তখন তারা এই দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন। ফলে নারী ও মেয়েদের ভোগান্তি বাড়ছে যা পানির ঘাটতি ও সংকটের ‘নারীবাদিতা’ এর দিকে ধাবিত করছে। অপরিষ্কার ও দূষিত পানির ব্যবহারের কারণে অনেক নারী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত ডাক্তার মাহাতাব হোসেন জানান, “ইদানিং অনেক নারী ইউরিন্যাল ইনফেকশান, যৌনাঙ্গে চুলকানি এবং সাদা স্রাব (লিউকোরিয়া) এর মতো অসুখ নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসছেন।” পানির ঘাটতি নারী, কিশোরী এবং পুরো পরিবারের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, কারণ আমরা জানি পানি জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। এর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে এবং করোনা মহামারী সময় এই সমস্যা দ্বিগুণ আকারে দেখা দিয়েছে। পানির সংকট এবং অভাবের কারণে গ্রামীণ সহিষ্ণুতা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরার এক মহিলা পানির ব্যবহারকারী জানান বাজারে পানির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। অধিকন্তু করোনা মহামারীর কারণে তাদের আয় কমে যাওয়ায় বাজার থেকে পানি কিনে আনার সক্ষমতা নেই। তাই তারা দূষিত পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন । সুতরাং এটি মহিলাদের জন্য একটি ত্রীপক্ষীয় সমস্যার উদ্রেক করেছে। একশনএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, “এই সংকট মোকাবেলায় একশনএইড বাংলাদেশ প্রাথমিক পর্যায়ে জরুরি ভিত্তিতে জনগণকে পানি সরবরাহ করছে। মাঝারি পর্যায়ে আমরা ভবিষ্যত জলবায়ুর গতিবিধি বিবেচনা করে পানি সংকট নিরসনে স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন টেকসই সমাধানগুলি খুঁজে পেতে স্থানীয় জনগণের সাথে কাজ করছি। তবে এর একটি স্থায়ী সমাধান দরকার এবং এই জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় সরকার ও সকল উন্নয়ন সংস্থার একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি বাইডেন এর আমন্ত্রণে বিশ্ব নেতারা ২২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে ভার্চুয়াল জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। আমরা বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ যারা তীব্র পানি সংকটে রয়েছেন তাদের সাথে ঐকমত পোষণ করে বলতে চাই -জলবায়ু রক্ষার পদক্ষেপ যেন কেবল গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। এটি ২০২৫ সালের লক্ষ্যমাত্রা নয়; এর জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে। তাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে যুক্তিযুক্তভাবে কাজ করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ এই দুরবস্থা থেকে মুক্তি পায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com