বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর
কেন খাবেন টমেটো কেচাপ?

কেন খাবেন টমেটো কেচাপ?

শুধু শীতকাল নয়, সারা বছরই পাওয়া যায় এমন সবজিগুলোর মধ্যে টমেটো অন্যতম। সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ এই সবজিটি কাঁচা কিংবা রান্না দুভাবেই খাওয়া যায়। জুস, কেচাপ, স্যুপ এবং সালাদ করতেও টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। টমেটোর যেকোনো আইটেমই হোক না কেন তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এতে কম ক্যালোরি, চর্বি কম, উচ্চ মাত্রার লাইকোপিন, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি প্রভৃতি নানা উপাদান রয়েছে। এসব উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

দ্য টেলিগ্রাফ, হেলথ বেনিফিট ও অ্যালিয়েন্স গ্লোবাল অবলম্বনে জেনে নিন টমেটো কেচাপের নানা স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা-

প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

সপ্তাহে দুই কিংবা একাধিক বার টমেটো সস খেলে একজন মানুষের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি শতকরা ২০ ভাগ কমে যায়। ২০০২ সালে ৪৭ হাজার মার্কিন নাগরিকের ওপর এক গবেষণায় এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। আসলে টমেটোতে লাইকোপিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামে এমন কতকগুলো উপাদান আছে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

যৌন সক্ষমতা বাড়ায়

টমেটোতে লাইকোপিন থাকার কারণে এর রং লাল। এটিই পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, টমেটোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুক্রাণুর পরিমাণ শতকরা ৭০ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে। একই সঙ্গে অস্বাভাবিক শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কোলেস্টেরল ও হার্টের ঝুঁকি কমায়

টমেটো কেচাপ খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে। ২০০৭ সালের গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবকরা, যারা তাদের দৈনিক তেন বেলা খাবারে কেচাপ যোগ করেছিলেন, তাদের কোলেস্টেরল মাত্রা ছয় সপ্তাহের মধ্যে ছয় ভাগ কমে গিয়েছিল। একই সঙ্গে তাদের কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিনের মাত্রাও ১৩ ভাগ কমে গিয়েছিল। আবার হার্টের যেকোনো সমস্যা সমাধানে টমেটো কেচাপের জুড়ি মেরা ভার।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়

টমেটো কেচাপে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি এবং কম মাত্রার চর্বি রয়েছে। এ ছাড়া এতে বিদ্যমান ভিটামিন-এ ইমিউন সিস্টেমকে ভালো রাখে। এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে দৃষ্টিশক্তিও ভালো থাকে।

ক্যালোরি কমায়

টমেটো কেচাপ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। কারণ এতে অন্যান্য মশলার তুলনায় অনেক কম ক্যালরির উপাদান থাকে। প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ টমেটো কেচাপ খেলে সপ্তাহে ১ হাজার ১৯০ ক্যালরি কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ছাড়া ভারি খাবারের পর একটু টমেটোর জুস খেলে তা হজমে সহায়তা করে। আবার ওজন কমাতেও কাজ করে এই কেচাপ।

ক্ষতিকর চর্বি কমায়

প্রতিদিন এক টবিল চামচ টমেটো কেচাপ খেলে চর্বি ০.১ গ্রাম কমে আসে। একই সঙ্গে খাবারটি হৃদরোগের জন্য ক্ষতিকারক চর্বির পরিমাণও কমিয়ে দেয়।

শর্করা কম

টমেটোতে শর্করার পরিমাণ অনেক কম থাকে। প্রত্যেকবার খাওয়ার সময় ৪ গ্রামেরও কম শর্করা পাওয়া যায়। ডায়েটে তাই শর্করার মাত্রা কম রাখতে এটি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে

টমেটোতে লাইকোপিন থাকায় তা নারীদের স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ভিটামিন-এর ভালো উৎস

টমেটো কেচাপে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ থাকে। শুধু চোখের জন্যই নয়, বরং চামড়া, হাড় ও দাঁতের গঠনেও কিন্তু ভালো কাজ করে ভিটামিন-এ।

নিয়মিত টমেটো কেচাপ খেলে হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া রোধ করে। এ ছাড়া জন্ডিস প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টমেটো কেচাপ রাখুন। তবে উপকারিতা সত্ত্বেও টমেটো কেচাপে চিনি এবং লবণ থাকায় এটি বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, যেকোনো খাবারই পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com