সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর
মির্জাপুরে কাঠ পোড়ানো চুল্লি

মির্জাপুরে কাঠ পোড়ানো চুল্লি

বাংলাদেশে শুধু পরিবেশদূষণের কারণে সৃষ্ট নানা রোগে বছরে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এই হিসাব উঠে এসেছে বিশ্বব্যাংক পরিচালিত এক গবেষণায়। এ ছাড়া প্রতিবছর আক্রান্ত হয় কয়েক লাখ মানুষ। মারা না গেলেও রোগ-যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় বহু মানুষকে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেড়ে গেছে। তার পরও কি আমাদের হুঁশ ফিরছে? পরিবেশ ও বন রক্ষায় আমরা কি সামান্যতম আন্তরিকতা দেখাচ্ছি? সারা দেশেই অবাধে ধ্বংস হচ্ছে বন। বনের পাশে, এমনকি বনের মধ্যেও গড়ে উঠছে দেদার করাতকল, ইটভাটা, কাঠ পোড়ানোর নানা ধরনের চুল্লি। প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধু মির্জাপুরেই সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ও তার আশপাশে ৩৩টি চুল্লি রয়েছে, যেগুলোতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানো হয়। আবার বনের জমি দখল করে বানানো হচ্ছে ঘরবাড়ি বা অন্যান্য স্থাপনা। যে বন বিভাগ এসব দেখভাল বা রক্ষা করার দায়িত্বে রয়েছে বাস্তবে দেখা যায় তাদেরই কিছু কর্মী অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বন ধ্বংসকারী বা দখলকারীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে।
সুস্থ পরিবেশের জন্য কোনো দেশে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা জরুরি। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। প্রাকৃতিক বনের পরিমাণ আরো অনেক কম। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এভাবে চললে কয়েক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ বনশূন্য হয়ে যাবে। পঞ্চাশের দশকেও মধুপুর বনাঞ্চলে বাঘের অবাধ বিচরণ ছিল। ছিল বুনো মোষ, গয়ালসহ আরো অনেক বন্য প্রাণী। স্বাধীনতার পরও ভাওয়াল-মধুপুরে বনের যে বিস্তৃতি ছিল, বন যতটা গহিন ছিল তার প্রায় কিছুই নেই এখন। অতি সামান্য যেটুকু অবশেষ কোনো রকমে টিকে আছে, তা-ও এভাবে শেষ হয়ে যাবে? কয়েক বছর আগের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধু কক্সবাজার জেলায়ই সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলোর পাশে বা কোথাও কোথাও বনের পেটের মধ্যে প্রায় দুই ডজন ইটভাটা ছিল। এখন সম্ভবত সংখ্যা আরো বেড়েছে। অভিযোগ আছে, এদের বেশির ভাগই দেখানোর জন্য ভাটায় কিছু কয়লা জমিয়ে রাখে, কিন্তু ইট পোড়ায় কাঠ দিয়ে। পাহাড় কেটে মাটি নেয়। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও সিলেটে বনাঞ্চলের পাশে এ রকম কয়েক শ ইটভাটা পাওয়া যাবে। অথচ আইনে আছে, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানার তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা থাকতে পারবে না। কিন্তু আইন বাস্তবায়ন করবে কে? বাস্তবায়নের দায়িত্বে যাঁরা থাকেন, তাঁরা কোনো না কোনো কারণে এ ক্ষেত্রে তাঁদের চোখ বন্ধ করে রাখেন।
সুস্থ জীবনের জন্য সুস্থ পরিবেশের কোনো বিকল্প নেই। আমরা চাই, মির্জাপুরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে যেসব চুল্লি ও কারখানা গড়ে উঠেছে, অবিলম্বে সেগুলো বন্ধ করা হোক। যারা অন্যায়ভাবে সেগুলো করেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একই সঙ্গে বন ও পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁরা কেন এতদিন সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি, তা তদন্ত করে প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com