কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥ পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পবিত্র ঈদুল আযহার পঞ্চম দিনে সমুদ্র সৈকতে অসংখ্য পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। হাজারো পর্যটকদের ভিড়ে কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পর আবার উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। করোনার ভয়কে জয় করে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে তাল মিলিয়ে নেচে গেয়ে সমুদ্রে গোসল, হৈ হুল্লোড় আর সৈকতে খেলাধুলা আনন্দের সীমা নেই পর্যটকদের মাঝে। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোলোভা দৃশ্য অবলোকন সহ সৈকতে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর উম্মাদনা ভ্রমণের নতুন এক অনুভূতি জোগায়। কুয়াকাটার টুরিস্ট স্পট গুলো যেমন লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইনদের তাতঁ পল্লী, আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দর, পায়রা সমুদ্র বন্দর, সমুদ্রপথে ট্যুরিস্ট বোটে বিভিন্ন দ্বীপ ও বনাঞ্চলে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গেছে।
ট্যুরিজম ব্যবসার সাথে জড়িত সকলের মনে আনন্দের জোয়ার।তারা ভাবতেও পারেনি দেশের এরকম পরিস্থিতিতে এত ট্যুরেস্ট কুয়াকাটা আগমন ঘটবে।স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় এবছর এত পরিমাণে মোটরবাইক যোগে ট্যুরিস্টদের আগমন ঘটেছে যা তারা বিগত কোন বছরে দেখেননি। খুলনা থেকে মোটরবাইক যোগে আসা একঝাঁক তরুণ বলেন,গাড়ি ভাড়া অনেক বেশি জনপ্রতি আসতে যাইতে গাড়িতে অনেক টাকা খরচ হয়। তাই ভেবে আমরা ১৪জন সাতটি মোটরসাইকেল যোগে চলে এসেছি।আমাদের অনেক কম খরচ হয়েছে।
যশোর থেকে আগত পর্যটক দম্পতি নুরুল ইসলাম বলেন, যদি বাসভাড়া আগের মত থাকতো তাহলে অনেক ফ্যামিলি কুয়াকাটায় ঘুরতে আসতো। বাস ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে অনেকে আসতে চাচ্ছে না।তিনি আরো বলেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল, টুরিস্ট বোট সহ সকল সেক্টরে ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক খুশি এবং আনন্দে। খুবই কম খরচে আমরা এবার ঘুরে যেতে পারলাম। কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র এ এসপি মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, পর্যটক ক্রমান্যায় বৃদ্ধি হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি ভাল হলে সামনে আরো বাড়বে, তার সাথে আমরাও তাদের সেবায় প্রস্তুত।
Leave a Reply