বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
গলাচিপায় দাদনের ফাঁদ শৃঙ্খলে বন্দি জেলেরা

গলাচিপায় দাদনের ফাঁদ শৃঙ্খলে বন্দি জেলেরা

গলাচিপা প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় দাদনের ফাঁদ শৃঙ্খলে বন্দি উপজেলার জেলেরা। মৎস্য সম্পদ আহরনের কাজে নিয়োজিত মানুষগুলোর হাড্ডিসার দেহ দেখে বিশ্বাস হবে না, এরাই প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা তুলে আনে ডাঙ্গায়। ঝড়ঝঞ্জা প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে গভীর সমূদ্রে ছুটে যায়। তাদের এ শ্রমের ফলে কোটি টাকার মালিক হচ্ছে আড়তদার, দাদনদার আর মহাজনরা। লাল খাতার মারপ্যাঁচে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয় ঐসব জেলেরা।
উপজেলার প্রায় ২২ শতাংশ লোক মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত। ব্যাপকভাবে চাহিদা বৃদ্ধি, জনসংখ্যার উর্ধগতি, নদী ভাঙ্গনে ফসলি জমি বিলীন, বেকারত্ব ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্যে বর্তমানে শুধু জেলে নয় অন্যসব সম্প্রদায়ের লোকেরা মাছ ধরছে। মোট অমিষের ৫ভাগের ৪ভাগই আসে মাছ থেকে। আর মৃত্যুকে তুচ্ছ ভেবে যারা আমিষের যোগান দিচ্ছে তারা অপুষ্টি, নিরক্ষরতা, কৃসংস্কারাচ্ছন্নতায় ভুগছে। মাছ ধরা থেকে পুর্নাঙ্গ ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়ায় ঠকছে জেলে সম্প্রদায়। দাদনের ফাঁদ শৃঙ্খলে বন্দি তারা প্রতি বছর কোটি টাকার মাছ ধরে মহাজনদের আড়তে জমা দিয়েও ৪/৫ হাজার টাকার দাদনের দায় থেকে নিস্কৃতি পায় না। নদী উপকূলে কয়েকটি মৎস্য আড়ত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এক একটি আড়তে দুই থেকে ১০ জনের অংশিদার থাকে।
এছাড়া ম্যানেজার, হকার ও মাছ মাপার জন্য থাকে ৫/৭ জন কর্মী। কার্তিক মাস থেকে জেলেরা বৈশাখ মাস পর্যন্ত জাল, নৌকা ও টাকার জন্য ঋন নিতে হয় জ্যৈষ্ঠ থেকে ইলিশ মৌসুম শুরু হয়ে চলে আশ্বিন পর্যন্ত। সকাল বিকাল দুবার জেলেদের জাল তুলতে হয়। দু বারই তীরে দারিয়ে থাকে আড়তের হকাররা। এসব মাছ নিয়ে যায় আড়তে। আড়তদাররা গ্রেড অনুযায়ী মাছ বিক্রি করলেও জেলেদের মাছ গ্রহন করে কেজির মাপে। সপ্তাহ অনুযায়ী দর কাটা হয়। সপ্তাহের নি¤œদরে হিসাব হয় জেলেদের সাথে। ইচ্ছে থাকলেও নগদ এবং বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে পারে না তারা। রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিচারের নামে প্রহসন। প্রতি মনে ২ কেজি আড়তের ফ্রি দিতে হয়। এটাই নিয়ম! চোখের সামনে অড়তদার ও দাদনদাররা উপজেলা ও জেলা সদর গুলোর আড়তে প্রতি কেজি ৫০/৬০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। প্রতি বছর আড়তদাররা লাখ লাখ টাকা লাভ করে থকে।
নতুন আঙ্গিকে সাজায় আড়ৎ আর ক্যাশ বাক্স। মৌসুমে শেষে হিসাব কষে দেখা যায় আড়তদার প্রতি জেলের কাছে ৪/১০হাজার পায়। আবার শুরু হয় দেনা, শুরু হয় দাদন। আড়তদার আর সরকারের সুদৃষ্টি যাদের উপর পড়ে তাদের ভাগ্য ফেরে শুধু ওদের ভাগ্য ফেরে না। আড়ৎ গুলোর মালিকদের মঝে সারা বছর প্রভাব বিস্তারের দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। কিন্তু ব্যবসার জন্য তাদের রয়েছে সিন্ডিকেট। মাছের দর নির্ধারন করে সিন্ডিকেট এর নেতৃবৃন্দ। সাগর ও নদীতে মাছ ধরা পড়ার ওপর নির্ভর করে দাম। মাছ যত বেশি ধরা পড়ে দাম ততো কমে যাবে। কেজি প্রতি কেউ ৫টাকা দাম বাড়ালে সিন্ডেকেটের নেতৃবৃন্দ তাকে প্রতিহত করে এবং মাছের দাম কমাতে বাধ্য করে। জেলেরা জানতে চাইলে শিক্ষাজ্ঞানহীন জেলেদের লাল খাতার হিসাব দেখায়। জেলেরাও লাল খাতার হিসাব উপেক্ষা করতে পারে না। কারন তাদের পূর্ব পুরুষ থেকেই এই লাল খাতার সম্মান দেখায় ধর্মীও অনুভুতিতে বিশ্বাস করে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com