বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ঝুলে যাওয়া একটি সাধারণ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। মাধ্যাকর্ষণ এবং স্তনের চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা হারানো বা হ্রাস পাওয়ায় যে পেশিকলা, অস্থিবন্ধনী ও চামড়া স্তন ধরে রাখে, তা ক্রমে দুর্বল হয়ে যায়। ফলে স্তন ঢিলে হয় এবং তার যৌবনরূপ হারাতে থাকে। এমনকি জিনতত্ত্বীয় কারণে অল্প বয়সে স্তন ঢিলে বা ঝুলে যেতে পারে।
২২ থেকে ২৩ বছর বয়সে স্তন ঝুলে যাওয়ার নানা কারণ থাকে। যেমন- বিএমআই (BMI) বৃদ্ধি, স্তনের বড় আকৃতি ও ধূমপান (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ) যে কোনো বয়সী নারীর স্তন ঝুলে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া যেসব খেলাধুলায় স্তন সজোরে লাফালাফি করে, যেমন- ব্যাডমিন্টন, দৌড়, উচ্চলম্ফ ইত্যাদি কারণে স্তন ঝুলে যেতে পারে। এ ছাড়া স্তন ঝুলে যাওয়ার সঙ্গে অস্থিবন্ধনী, স্তনের চারপাশের চামড়ার স্থিতিস্থাপকতার বিষয়টি জড়িত।
বিএমআই বৃদ্ধি ও বড় আকৃতির স্তন সাধারণত মাধ্যাকর্ষণের কারণে হয়। স্তনের পেশিকলা, নিচের দিকে টানা, স্তনের চামড়ার টান টান ভাব শিথিল, দুর্বল হয়ে যাওয়ায় স্তনে ঢিলা ভাব আসে। খেলাধুলার সময় ক্রমে স্তনের উপর-নিচ কম্পনের কারণেও স্তনের পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যা পরে স্তন সঠিকমাত্রায় সাপোর্ট দেওয়ার সামর্থ্য হারায়।
স্তন বৃদ্ধি বা ঝুলে যাওয়া নিয়ে কিছু ভুল ধারণা হলো- সন্তানকে স্তন্যদান করার কারণে অল্প বয়সে স্তন ঝুলে পড়ে। এ ধারণা এশিয়ার কিছু দেশে বিদ্যমান। মধ্যপ্রাচ্যের নারীদের মধ্যেও ভুল ধারণাটি প্রকট।
আমেরিকান সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনের বর্ণনা মতে, স্তন্যদানের সঙ্গে স্তনের আকারের সম্পর্ক নেই, এমনকি একাধিক সন্তানকে স্তন পান করালেও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাবে স্তনের আকার ঝুলে বা ঢিলা হয় না।
Leave a Reply