এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ সরকারি সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ভোগ দখলের অভিযোগ উঠেছে ঝালকাঠির পাক মহলের শামসু খানের ছেলে মোঃ শফিক(৩৫) বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ঝালকাঠির মেম্বার মোঃ শাহ আলমের বিরুদ্ধেও অভিযোগের অন্ত নেই। স্থানীয় সূত্র জানায় গত কয়েক বছর ধরে বেআইনি ভাবে ঝালকাঠীর বাসিন্দা হওয়া সত্বেও পেশী শক্তি দিয়ে বেআইনি ভাবে জমি দখল করে যাচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় শশীদ এলাকায় একটি অশুভ শক্তির বদৌলতে দিনের পর দিন শশীদ মৌজার সরকারি সম্পত্তি ভোগ দখলের পায়তারা করে অবৈধ স্থাপনা করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে । গত শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার এক গণ মাধ্যম কর্মী ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা সকাল বেলা শশীদ এলাকায় গিয়ে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করতে যান। মিডিয়ার লোকজন যাওয়ার সাথে সাথে ভূমি খোররা পালিয়ে যায় । গণ মাধ্যম কর্মীরা অবৈধ স্থাপনার ছবি সহ ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন। এসময়ে ঝালকাঠির পাক মহলের কিছু কিছু গুন্ডা বাহিনীর তোপের মুখে পড়লেও জেলা প্রতিনিধির উপস্থিত বুদ্ধির কাছে নতজানু হয় সন্ত্রাসীরা।ঘটনা স্থলে বসে তাৎক্ষণিক ভাবে নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ করিমকে বিষয়টি অবগত করেন। অপরদিকে সমুদয়কাঠীর ভূমি কর্মকর্তাকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করেন গন মাধ্যম কর্মীরা। এদিকে অবৈধ স্থাপনার ঘটনা কথা মুহুর্তের মধ্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে স্থানীয় চৌকিদার ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে শশীদ বাজারের বহু দোকানদারা ভয়ে পাক মহলের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে আর অভিযোগের তীর স্থানীয় চেয়ারম্যান এম এ সবুর তালুকদারের বিরুদ্ধেও । স্বরূপকাঠির সরকারি জায়গা কিভাবে ঝালকাঠির পাক মহলের ভূমি খোরদের দখলে।এছাড়াও পাক মহলের বর্তমান মেম্বার মোঃ শাহ আলম বিগত সময়ে অবৈধ ভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে। বর্তমানে প্রায় লক্ষ টাকায় পজিসন বিক্রি করে চলছে। মেম্বারকে অনুসরণ করে ঝালকাঠির আর এক ভূমিখোর শফিক খান শশীদ বাজারে আবারও সরকারি জায়গায় বেআইনী ভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করার দুঃসাহস দেখায় । বিগত সময়ে পাক মহলের ভূমিখোর সহ সন্ত্রাসীদের কারণে সমুদয়কাঠীর শশীদ বাজারের জমজমাট পরিবেশ আজ আর নেই । ঝালকাঠির পাক মহলের চোর ডাকাত সহ ভূমি খোরদের কারণে শশীদ বাজার আজ চরম হুমকির সন্মূখিন। সরেজমিনে জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে স্থানীয় দোকানদারদের বহু প্রশ্ন করলেও ভয়ে মুখ খুলে না। পাক মহলের ডাকাত চক্রের কাছে এক ধরনের জিম্মি শশীদ বাজার। এদিকে অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। এলাকার বেশীরভাগ লোকজন সরাসরি কিছু না বললেও চেয়ারম্যানের হাত থাকতে পারে বলে জানান । অপরদিকে ইউনিয়ন ভূমি অফিস কি নাকে তৈল দিয়ে ঘুমাচ্ছে আর এ প্রশ্ন স্থানীয় সংখ্যা লঘুদের। সর্বশেষ তথ্য মতে গণ মাধ্যম কর্মীদের তৎপরতা সহ স্থানীয় ভূমি অফিসের সময় উপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আপাতত অবৈধ স্থাপনার কাজ বন্ধ হলেও স্থায়িত্ব ভাবে নয়। তবে রাতের অন্ধকারে আবারও সরকারি জায়গায় বেআইনী ভাবে শনিবার গভীর রাতে দোকান ঘর নির্মাণ করার দুঃসাহস দেখায় বলে এলাকার বেশীরভাগ সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। এলাকার গণ মানুষের দাবি, এখনই যদি সরকারি জায়গা জমির অবৈধ ভাবে দখল বন্ধ করা উচিত। পাশাপাশি ভূমিখোরদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
Leave a Reply