অনেকের পক্ষেই হয়তো কল্পনার অতীত যে, শিশুরাও কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুরা সাধারণত দুধরনের কিডনি রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এর একটির নাম নেফ্রোটিক সিনড্রোম এবং আরেকটির নাম অ্যাকিউট নেফ্রাইটিস। নেফ্রোটিক সিনড্রোমে সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা বেশি ভুগে থাকে। আবার এ সমস্যায় মেয়েদের চেয়ে ছেলেরাই বেশি আক্রান্ত হয়। প্রথম দিকে দুচোখের পাতা ফুলে যায় ও মুখে ফোলা ভাব থাকে। পরে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে পেট, হাত ও পায়ে পানি জমে এবং সারা শরীর ফুলে যায়।
শিশুর অ-কোষে পানি জমতে পারে। এর সঙ্গে কখনোবা প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়; রঙ সাধারণত স্বাভাবিক থাকে। শিশুর রক্তচাপ সচরাচর স্বাভাবিকই থাকে। প্রস্রাব গরম করলে প্রোটিনের পুরু স্তর পাওয়া যায়। অ্যাকিউট নেফ্রাইটিসে আক্রান্ত হয় সাধারণত স্কুলগামী ছেলেমেয়েরা।
শিশুর শরীরে খোসপাঁচড়া বা গলাব্যথা অসুখের ১০ থেকে ২১ দিন পরে সাধারণভাবে এ রোগ প্রকাশ পায়। স্ট্রেপটোকক্কাই নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এ জন্য দায়ী। কিডনি সংক্রান্ত এসব সমস্যায় শিশুদের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দ্রুত ফলদায়ক এবং অধিকতর কার্যকরী।
এ ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ভালো। তিনি রোগের ইতিহাসসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবেন। রোগী যথাযথ ওষুধ সেবনের মাধ্যমে দ্রুত এ রোগ থেকে মুক্তি পাবে।
Leave a Reply