পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুর জেলা আইনজীবি সমিতির অন্যতম নেতা প্রয়াত বাবু পবিত্র কুমার মন্ডলের সুযোগ্য কণ্যা প্রগতি মন্ডল। জেলার মধ্যে একমাত্র মহিলা চেয়ারম্যান হিসাবে একটা সুনাম অর্জন করেছেন ইতিমধ্যে। নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের খারারবাগ এলাকায় মন্ডল পরিবারের সম্পদ প্রগতিকে নিয়ে ইতিমধ্যে একটি পক্ষ মিথ্যে খেলায় মেতে উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার কোরবানি ঈদের চাল দেওয়া নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান অহেতুক মিথ্যা নাটক স্থাপন করে চারিদিকে হৈচৈ ফেলে দেয়। সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা শ্রাবনের প্রচন্ড বর্ষাকে উপেক্ষা করে পরিষদের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করেন। সাবেক চেয়ারম্যান মিন্টুর অভিযোগ নিয়ে গণ মাধ্যম কর্মীরা সঠিক তথ্য বের করার চেষ্টা করে। উপজেলা পি আই ও কর্মকর্তাকে বিষয়টি নিয়ে অবগত করেন। মিডিয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন দৈহারী ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ ২ টন ২০০ শত ২০ কেজি চাল। এদিকে পরিষদের মেম্বার সহ টেক অফিসার মোঃ মাসুম বিল্লাহ গন মাধ্যম কর্মীদের সকল প্রশ্নের জবাব দেন। অবশ্য চেয়ারম্যান ঘটনার সময়ে উপস্থিত ছিলেন না। তার পক্ষে সচিব চিত্ত রঞ্জন বেপারী বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন। চালের পরিমাণ অনুযায়ী ২২০ জনের কার্ড হবে। আর সেই সূত্র মতে স্থানীয় পুরুষ ও মহিলা মেম্বারদের সর্বমোট কার্ড বরাদ্দ ১৫০। আর বাকী গুলো চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক বিবেচনায় বরাদ্দকৃত। এদিকে জনপ্রতি ১০ কেজি চালে সাড়ে নয় কেজি চাল দেওয়া হচ্ছিল। আর চাল দেওয়ার সূত্র ধরেই সাবেক চেয়ারম্যান অহেতুক নাটক করে বলে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন। নাম না প্রকাশের শর্তে
গত নির্বাচনে পরাজিত পক্ষ আজ কোন মতে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারছেন না জেলার সুপরিচিত একমাত্র দৈহারী ইউনিয়নের প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান প্রগতি মন্ডল কে। ইউনিয়ন পরিষদের মসনদে বসার পর থেকেই সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টু প্রতিহিংসার রাজনীতির পাশাপাশি নানান কায়দায় মিথ্যা অপবাদ দিতেও কার্পণ্যতা করেন না। সাবেক চেয়ারম্যান তার পরাজয়ের পর থেকেই এক মুহূর্তের জন্য শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করার কাজে বাধা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালায় যত্রতত্র ভাবে। গত তিন বছর ধরে নানান কায়দায় অপপ্রচার চালাতে কুন্ঠা বোধ করেন না। অবশ্য সাবেক আর এক চেয়ারম্যান একটু ভিন্ন আঙ্গিককে কথা বলেন জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে। একান্ত আলাপ চারিতায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও নারী নেত্রী প্রগতির বিষয়ে সাহসী উচ্চারন করেন। আসলেই আমাদের স্বরূপকাঠির গর্ব। পাশাপাশি জেলার জন্য একটা ইতিহাসও বলা যায়। একমাত্র মহিলা চেয়ারম্যান হিসাবে একটা সুনাম অর্জন করা ভাগ্যেরও বিষয় রয়েছে। গত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী প্রগতি মন্ডল। তার নিকটতম ভোট যুদ্ধের প্রার্থী ছিলেন মোঃ মিজানুর রহমান মিন্টু। আর এটাও সত্য নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আজ পর্যন্ত কমবেশি অপ প্রচারে লিপ্ত সাবেক চেয়ারম্যান। তবে আমিও দৈহারী ইউনিয়নের সাবেক ও সফল চেয়ারম্যান ছিলাম। আসলে আমি কাঁদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। আমার সময়ে দৈহারী ইউনিয়নের মধ্যে রাস্তা ঘাট নির্মাণ সহ আধুনিকতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আজ সেই সূত্র ধরেই ক্রমাগত উন্নয়ন হচ্ছে সর্বত্র। সাবেক সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম আউয়াল মহোদয়ের কল্যানে আমাদের এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান মন্ত্রী এ্যাডঃ শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদ নিয়ে আমাদের এলাকায় উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান প্রগতি মন্ডল একজন নারী নেত্রী হয়ে পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন ইতিমধ্যে। সাবেক ইউনিয়নের বহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত গন মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে আমাদের এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যানকে নিয়ে অহেতুক মিথ্যা নাটক করে যাচ্ছে বেশ কিছু শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা। দারুণ ঈর্ষাকাতর হয়ে মিথ্যা খেলায় মেতে উঠেছে।
এদিকে দৈহারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রগতি মন্ডলের সাথে কথা হয় গণ মাধ্যম কর্মীদের। মিডিয়ার নানান প্রশ্নের জবাব দিতে কোন রকম কার্পণ্যতা বোধ করেননি। আসলে আমি আমার বাবার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৌনিক। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের কান্ডারীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারিগর। আর সেই ধারাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মনে করে উন্নয়নের সাথে থাকাই হল আমার রাজনীতি। আমি জনগণের সেবক তাই সেবা করার মাধ্যমে নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই। আসলে আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর পরই একটি পক্ষ আমাকে মেনে নিতে পারছেন না। কারণে অকারণে মিথ্যা অপবাদ দিতেও কার্পণ্যতা বোধ করেন না। তারপরও আমি জনগণের সেবক হিসেবে পাশে দাড়িয়েছে। সর্বশেষ তথ্য মতে, চাল বিতরণ করায় যত সামান্য অনিয়ম চোখে পড়েছে। অবশ্য হরিলুটের কোন রকম ঘটনার জন্ম হয়নি বলে স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন বলেন। আসলে এটা হলো সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যানের গ্রাম্য রাজনীতির কুটকৌশলীর খেলা মাত্র।
Leave a Reply