রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
ওসি প্রদীপ দম্পতির হিসাব ছাড়া সম্পদ

ওসি প্রদীপ দম্পতির হিসাব ছাড়া সম্পদ

আলোচিত সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের দায়সারা একটি হিসাব দাখিল করেছিল প্রদীপ দম্পতি। কিন্তু মাঝপথে অজ্ঞাত কারণে থেমে যায় সেই অনুসন্ধান। মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যামামলায় গ্রেপ্তারের পর ফের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এরই মধ্যে প্রভাব খাটিয়ে গড়া অবৈধ সম্পদের হিসাব এসেছে দুদকের হাতে। খুব শিগগির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুদকসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তারা জানান, দুদকের কাছে দেওয়া সম্পদের হিসাব বিবরণীর বাইরে প্রদীপের নামে ও বেনামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত অঢেল সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্পদ বিবরণীতে দেওয়া সম্পদের অন্তত ৫০ গুণ বেশি সম্পদের মালিক প্রদীপ ও তার স্ত্রী। নিজের নামে সামান্য কিছু সম্পদ দেখানো হলেও বেশিরভাগই স্ত্রী চুমকির নামে। ২৬ বছরের চাকরিজীবনে প্রদীপ মানুষকে ক্রসফায়ারের ভয়, ঘুষবাণিজ্য, দখলবাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। টেকনাফ থানায় ওসি হিসেবে যোগ দিয়ে চোরাকারবারি-ইয়াবাকারবারিদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। প্রবাসী ও শিল্পপতিদের ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। দুদক ও এনবিআরের চোখ ফাঁকি দিতে সম্পদ দেখানো হয়েছে স্ত্রী চুমকির নামে। দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় ২-এর উপপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম আমাদের সময়কে বলেন, প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তদন্ত চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে দুদকের চেয়ারম্যান ও সচিব জানাবেন উল্লেখ করে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি দুদকের এ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর কাছে নোটিশ পাঠায় দুদক। একই বছরের মে মাসে ওসি প্রদীপ দুদকে তার বৈধ সম্পদের হিসাব জমা দেয়। সেখানে তার ও স্ত্রী নামে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে। ওই বছরের ১৮ নভেম্বর দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের কর্মকর্তারা প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সম্পদের প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে পাঠান। সেখান থেকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা না দেওয়ায় ফাইলটি সেখানেই স্থবির হয়ে পড়ে।

দুদুক সূত্র জানায়, ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সম্পদের বাইরেও ওসি প্রদীপ বিপুল সম্পদের মালিক। প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে-বেনামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকার প্রমাণ মিলেছে। স্ত্রীর নামে চট্টগ্রাম মহানগরে ছয়তলা বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট, একাধিক গাড়ি ও অন্যান্য সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে। এসব সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্য শতকোটি টাকার বেশি। দুদকে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণীতে প্রদীপের নিজের নামে জমি কিংবা বাড়ির উল্লেখ নেই। বেতনভাতা, শান্তিরক্ষা মিশন থেকে প্রাপ্ত ভাতা ও জিপিএফের সুদ থেকে প্রাপ্ত টাকা তার আয় দেখানো হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, দুদকে প্রদর্শিত সম্পদের বাইরে নগরীর লালখানবাজারে একটি ফ্ল্যাট, কক্সবাজারে দুটি হোটেলের মালিকানা, দেশের বিভিন্ন স্থানে জায়গা-জমি ও ভবন রয়েছে প্রদীপের। এ ছাড়া দেশের বাইরেও তার বাড়ি রয়েছে। এসব বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারাও খোঁজখবর নিচ্ছেন।

প্রদীপের স্ত্রী চুমকি গৃহিণী হলেও দুদকে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণীতে মৎস্য খামারি দেখানো হয়েছে। ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূলধনের মৎস্য খামার থেকে চুমকি প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। লাভের টাকায় চট্টগ্রাম নগরীতে কিনেছেন জমি, গাড়ি ও বাড়ি। নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় চার শতক জমি (দাম ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা)। ওই জমিতে গড়ে তোলা ছয়তলা ভবনের (মূল্য এক কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা); পাঁচলাইশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কেনা হয় ৬ গন্ডা ১ কড়া জমি (দাম এক কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকা); ২০১৭-১৮ সালে কেনা হয় কক্সবাজারে ঝিলংজা মৌজায় ৭৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট (দাম ১২ লাখ ৩২ হাজার টাকা)। সব স্থাবর সম্পদের মূল্য দেখানো হয়েছে তিন কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকা। অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছেÑ প্রাইভেটকার (দাম পাঁচ লাখ টাকা), মাইক্রোবাস (দাম সাড়ে ১৭ লাখ টাকা) ও ৪৫ ভরি স্বর্ণ। ব্যাংকে ৪৫ হাজার ২০০ টাকা।

১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে চাকরিতে যোগ দেওয়া প্রদীপ ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পান। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর কুঞ্জুরী গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপের বাবা হরেন্দ্র লাল দাশ ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) নিরাপত্তা প্রহরী। তার দুই সংসারে রয়েছে পাঁচ ছেলে ও ছয় মেয়ে। প্রদীপের ভাই সদীপ কুমার দাশ সিএমপির ডবলমুরিং থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত। তাদের আরেক ভাই দিলীপ কুমার দাশ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হেডক্লার্ক হিসেবে কর্মরত।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com