বানারীপাড়া প্রতিবেদক ॥ যেখানেই জনদূর্ভোগ সেখানেই সংরক্ষিত আসনের (বরিশালের) সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা। এমনটাই জানাগেলো সাধারণ মানুষের কাজ থেকে। তারা আরও জানান, এমপি মিরার নিজ অর্থায়নে জনকল্যান মূলক কাজগুলো বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান আলী হাওলাদার কর্মীদের নিয়েই সফল করছেন স্বেচ্ছায় শ্রম বিনিময়ের মধ্য দিয়ে। সোমবার (১০ আগষ্ট) বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা বাজার সংলগ্ন ‘ব্রিজ নয় যেন মরণ ফাঁদ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ দেখে এলাকাবাসীর চলাচলের কথা চিন্তা করে তাৎক্ষনিক সেটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন এমপি মিরা।
তাঁর অর্থায়নে ১১ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা ফোরকান আলী হাওলাদারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে ব্রিজটি সংস্কার করে দেন। প্রসঙ্গত উপজেলার উদয়কাঠি ইউনিয়নের শের-ই বাংলা বাজার সংলগ্ন আয়নণ ব্রিজটি দীর্ঘ দিনেও সংস্কার না হওয়ায় বেহাল হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছিলো। শের-ই বাংলা বাজারের দক্ষিণ পাশের লঞ্চঘাটে যেতে ওই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে থাকে। বাজার সংলগ্ন ওই জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের মাঝের বেশিরভাগ অংশের স্লাব ভেঙ্গে পড়ায় জনসাধারণকে চলাচল করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিলো।ওই এলাকার বেশিরভাগ কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী সরকারি কলেজ,ফজিলা রহমান মহিলা কলেজ ও শহিদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়নরত। আবার এখানকার বেশিরভাগ পরিবার তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে এবং বিয়ে সহ যেকোন অনুষ্ঠানে মার্কেট করতে সীমান্তবর্তী স্বরূপকাঠী,মিয়ারহাট ও ইন্দেরহাট বাজারে যাতায়াত করে থাকেন। লঞ্চে চড়ে ওইসব স্থানে যেতে তাদেরকে ওই ব্রিজটির ওপর দিয়েই লঞ্চ টার্মিনালে যেতে হয়। ব্রিজটির অবস্থা এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছিলো যে তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করতেন স্থানীয়রা। তাদেরকে আতঙ্ক নিয়ে ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে হতো।
এদিকে ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হওয়া ব্রিজটি সংস্কার করে জন দূর্ভোগ নিরসন করায় স্থানীয় এলাকাবাসী জনবান্ধব সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন কাঁদে বাংলার দুঃখি মানুষের জন্য। তাঁর একজন কর্মী হয়ে বঞ্চিত অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের যে কোন অসুবিধায় সাধ্যমতো কাজ করে যাবো ।
Leave a Reply