শনিবার, ২০ Jul ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
ঢাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কুকুর!

ঢাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কুকুর!

ঢাকা শহর থেকে ৩০ হাজার কুকুর শহরের বাইরের লোকালয়ে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষ। ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বিবিসি বাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মো. আবু নাছের বলেন, ‘কুকুরগুলোকে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কুকুরগুলোকে মাতুয়াইল এলাকায় স্থানান্তরিত করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে কুকুরগুলো খাবারের সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সেটা বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি জানান, কুকুরগুলোকে স্থানান্তরিত করার পরও যাতে খাবারের সংকট তৈরি না হয় তার জন্য সেগুলোকে ঢাকার বাইরের জনপদ অর্থাৎ যেখানে মানুষের বসবাস রয়েছে তেমন কোনো এলাকায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে কোন কোন এলাকায় এগুলোকে নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

কুকুর নিয়ে কাজ করে সংস্থাগুলোর ২০১৭ সালে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকার রাস্তাঘাটে অন্তত এক লাখ কুকুর ঘুরে বেড়ায়।

এদিকে, কুকুরগুলোকে স্থানান্তরের বিরোধিতা করেছেন প্রাণী কল্যাণ নিয়ে কাজ করা আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, কুকুর স্থানান্তর করলে আসলে সমস্যা কমবে না বরং আরও বাড়বে।

অ্যানিমেল কেয়ার ট্রাস্ট বাংলাদেশ নামের সংগঠন পরিচালনা করা আফজাল খান বলেন, ‘এতো সংখ্যক কুকুরকে একসঙ্গে কোন একটি অঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হলে সেখানে অবশ্যই খাদ্য সংকট দেখা দেবে। মফস্বল বা গ্রাম্য এলাকায় যদি কুকুরগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই খাবারের সংকট হবে। কারণ শহরের মানুষদের মতো সেখানকার বাসিন্দারা কুকুরের প্রতি এতোটা সংবেদনশীল নয়।খাবারের সংকট হওয়ার কারণে তখন কুকুরগুলো মানুষকে কামড়ানোর চেষ্টা করবে।’

তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে কুকুর নিধন এবং স্থানান্তর নিষিদ্ধ। এর পরিবর্তে কুকুরগুলোকে বন্ধ্যা করা এবং জলাতঙ্ক টিকা দেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে, ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার রিট আবেদনের প্রেক্ষাপটে কুকুর নিধন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। সে বছর অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন কুকর নিধন কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে কুকুরকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কাজ শুরু করে। পরে ঢাকায় দুই সিটি করা হলে আলাদা করে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

জাতীয় সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০১৬ সালেই ঢাকায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ কুকুরের কামড়ের পর চিকিৎসা নিয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com