প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫০তম বর্ষে এসে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বপ্নের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এর আগে টানা চারবার শেষ আট ও টানা তিনবার দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে ফরাসি এই ক্লাবটিকে। এবার আর বিদায় নিতে হয়নি, শেষ আটে আটালান্টার বিপক্ষে শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত ফেরার পর শেষ চারে লিপজিগকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের ফাইনালে নাম লেখায় পিইএসজি।
লিসবনে আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার অবিশ্বাস্য পারফর্মেন্স আর নেইমার জুনিয়রের অসাধারণ নৌপুণ্যে পিএসজি জেতে ৩-০ গোলে। দুটি গোলে সরাসরি অবদানের সঙ্গে নেইমারের সহায়তায় নিজেও একটি গোল করেছেন ডি মারিয়া। অর্থ্যাৎ তিন গোলেই অবদান রয়েছে এই আর্জেন্টাইনের।
ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটের সময় ডি মারিয়ার ফ্রি-কিক থেকে লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত হেডে লিপজিগের জালে প্রথমবারের মতো বল জড়ান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মার্কুইনহোস। এই গোলের পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি পিএসজিকে। নেইমার-মারিয়া-এমবাপ্পে ত্রয়ী মিলে আক্রমণের পসরা সাজান লিপজিগের ডি-বক্সে। তবে জার্মান ক্লাব লিপজিগও কাউন্টার অ্যাটাকে তটস্থ রেখেছিলো পিএসজির রক্ষণভাগের খেলোয়ড়াদের।
প্রথম গোলে সহায়তার পর দ্বিতীয় গোল সরাসরি নিজেই দেন ডি মারিয়া। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে নেইমারের শটে দারুণ দক্ষতায় শৈল্পিক শটে লিপজিগের জালে বল জড়াতে ভুল করেননি ডি মারিয়া। বিরতি থেকে ফিরে এসে আবারও এই আর্জেন্টাই। এবার ৫৬ মিনিটের সময় মারিয়া হুয়ান বেরনেটকে দিয়ে গোল করান। এই গোলের মাধ্যমে প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় পিএসজির ফাইনাল। শেষ পর্যন্ত আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি নেইমাররা। ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ ও লিওনের মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী রোববার স্বপ্নের ফাইনালে লড়বেন নেইমাররা। প্রথমবার ফাইনালে উঠে নেইমাররা কী ট্রফি ছুঁতে পারবেন নাকি অধরাই থেকে যাবে তা বলে দেবে সময়।
Leave a Reply