নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মরিয়ম বেগম ও আয়েশা আক্তারকে মানসিক নির্যাতন হুমকিসহ টেনে হিচরে দুই বোনের নানার ঘরে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে নারী নির্যাতনের রেকর্ড করলেন ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্য বশির জোমাদ্দার। এ সময় নাতনীদের রক্ষা করতে গেলে হামলার স্বীকার হয় নানা সেকান্দার আলী জোমাদ্দার। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় নলছিটির সিদ্ধকাঠীর ঘাটিয়া গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় নলছিটি থানায় মামলা করতে গেলে বাধার মুখে ফিরে আসে বলে প্রতিবেদককে অভিযোগ করেন আহত সেকান্দার আলী জোমাদ্দার । তবে একটি সূত্রে জানা, ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্য বশির জোমাদ্দার ও তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ ভাইর ছেলে সোহাগ আহত দুই বোনের নানার সম্পত্তি দখল করার প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই নির্মম ন্যাক্কার জনক নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্তরা। আহতদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সেকান্দার আলী জোমাদ্দার এর মেয়ে মুক্তা বেগম বলেন, জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু করে এই নির্যাতনের ঘটনার পরিকল্পনা করে আসছে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্য বশির জোমাদ্দার। পরে দুই বোন মরিয়ম বেগম ও আয়েশা আক্তার নানার ঘরে যাওয়ার পথে কথা কাটাকাটি হয় পুলিশ সদস্য বশির জোমাদ্দারের সাথে। এই ঘটনার এক পর্যায়ে বশির জোমাদ্দার বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় দুই বোনকে। এ সময় দুই বোন তার নানার জমি নিয়ে বাড়াবাড়ি অবৈধ ভাবে দখল করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদ করলে। দুই বোনকে টেনে হিচড়ে নানার ঘরে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। নাতণীদের উদ্ধার করতে এসে নানা সেকান্দার আলী জোমাদ্দারও আহত হয়। আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে গতকাল ডিএমপি পুলিশ সদস্য বশির নলছিটি ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ত্যাগ করে। বর্তমানে সে ঢাকায় অবস্থান করছে। এ ঘটনায় দুই বোন সূস্থ্য হয়ে বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানান। এ ব্যাপারে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্য বশির জোমাদ্দার বলেন, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন এ রকম কোন ঘটনায় জড়িত না তিনি। ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বলেন, তিনি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply