হুমকির মুখে ঝালকাঠি শহর রক্ষা বাঁধসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন,ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠিতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালী বালুখেকো একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব তেমনি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর দুই পারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রায় সারা-বছর ধরে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সুগন্ধা তীরবর্তী ঝালকাঠি-নলছিটি এলাকার কয়েকটি গ্রামে নদী ভাঙন ক্রমশই বাড়ছে। তবে সুগন্ধার বালু উত্তোলন ও এর প্রভাব নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বর্তমানে হুমকির মুখে ঝালকাঠি শহর রক্ষা বাঁধসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
প্রকাশ্যেই বালু ব্যবসায়ীরা সুগন্ধার চর দিয়াকুল,ভবানীপুর,কিস্তাকাঠি পাড় থেকে অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলন করছেন প্রতিদিন।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিনের সাহায্যে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ ক্ষেত্রে নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।
অপরিকল্পিতভাবে এ বালু উত্তোলন করায় ঝালকাঠি শহর রক্ষা বাঁধ, নলছিটির বাড়ৈ বাড়ি ইট ভাটাসহ কয়েকটি গ্রাম, ঝালকাঠির তৈল ডিপো এলাকা, পুরাতন কলেজ এলাকা, ভাবানীপুর, কিস্তাকাঠি, তোতা ফকিরের মাজার এলাকা, দিয়াকুল গ্রাম ভয়াবহ নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকার কয়েকশ’ একর আবাদি জমি ও বসতি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উক্ত সিন্ডিকেটের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,এই অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হবেনা? এই বালু দিয়ে আমাদের রাস্তাঘাটসহ সর্ব ক্ষেত্রে বালুর প্রয়োজন আছে? এরপরে একটি কথা হলো উত্তোলন করেন,গাফখানের মোহনা থেকে যে খানে চরপড়েছে? কিন্তু আপনা ওপার ভাঙ্গনের এলাকা থেকে কেন ৫/৭টি ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছেন। আমি যখন তাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তখন ভাঙ্গন এলাকা থেকে কখনো বালু কাটিনি।
এ ব্যাপারে ‘জনসেবার জন্য প্রশাসন’ ঝালকাঠির সু-যোগ্য জেলা প্রশাসক মো.জোহর আলী বলেন, গতকাল মোবাইল কোর্ট গিয়েছিল কিন্তু বৃষ্টির জন্য নদীতে নামতে পারেনি। আজকেও আবার যাবে,আপনারা অবগত আছেন বিগত দিনে আমরা এই অবৈধ বালু উত্তোলোন বন্ধ করার জন্য অনেকবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমান করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে ও থাকবে।
Leave a Reply