শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
বাড়ছে চাঁই-বুচনার কদর, ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছে না কারিগর

বাড়ছে চাঁই-বুচনার কদর, ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছে না কারিগর

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দক্ষিণাঞ্চলের নদী-নালা, খাল-বিলে সারাবছর ধরেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে মৎস্যজীবীরা। তবে বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার আয়োজনটা হয় বড় পরিসরে। এ সময়টাতে চাঁই, বুচনা-গড়াসহ মাছ ধরার বিভিন্ন ধরনের ফাঁদের কদর থাকে বেশি। এসব ফাঁদ বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় গ্রামগুলোতে ব্যক্তি উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে। তবে লাভ-লোকসানের হিসাব কষে অনেকেই যেমন ছেড়েছেন ফাঁদ তৈরির কাজ, আবার অনেকেই নতুন করে করেছেন শুরু। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মোহনকাঠি গ্রামের বেশিরভাগ পরিবার এই চাঁই তৈরি করে। গ্রামটিকে অনেকেই চাঁইপল্লী হিসেবে ডাকতে শুরু করেছেন। নানাবিধ সংকট আর সমস্যার মধ্যে ওই গ্রামের কয়েকশ পরিবার এখনো বংশ পরম্পরায় চাঁই তৈরি পেশা হিসেবে রেখেছেন। শুধু মোহনকাঠি নয়, উপজেলার বারপাইকা গ্রামের শতাধিক পরিবারও রয়েছে একই পেশায়। তবে চাঁই তৈরির কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণটা কমে গেছে। এ নিয়ে অনেকেই হতাশার মধ্যে দিন পার করছেন। অনেকে পেশা বদল করলেও সরকারি উদ্যোগে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পেলে বাপ-দাদার কাছ থেকে শেখা এই কাজ টিকিয়ে রেখে পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করার স্বপ্ন দেখছে এই কুটিরশিল্পের বেশিরভাগ মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিনিয়ত চাঁই তৈরির প্রধান উপকরণ বাঁশ, বেত ও লতার মূল্য বাড়ছে। প্রধান উপকরণের দাম বাড়লেও তৈরি চাঁইয়ের বাজারদর সেভাবে বাড়েনি। তাই সবমিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাঁইয়ের কারিগররা। ফলে অর্থসংকটের মধ্যে চাঁই তৈরির কারিগরদের এখন মহাজনদের কাছ থেকে দাদন নিতে হচ্ছে। পাশাপাশি কেউ এনজিও ও গ্রাম্যসুদি মহাজনদের কাছ থেকে টাকা এনে এ ব্যবসা করছেন। মোহনকাঠি গ্রামের চাঁই তৈরির কারিগর সচীন বৈরাগী জানান, তার বাবা, ঠাকুর দাদাসহ তাদের পূর্বপুরুষরা এ চাঁই তৈরির পেশায় ছিলেন। চাঁই তৈরির প্রধান উপকরণ হচ্ছে তলা বাঁশ, বেত ও কৈয়া লতা। বতর্মানে বেত দুষ্প্রাপ্য হওয়ায় বাঁশ ও লতা দিয়েই চাঁই তৈরি করা হয়। কুয়াকাটা, চট্টগ্রাম, কাপ্তাইসহ পাহাড়ি অঞ্চল থেকে পাইকাররা কৈয়া লতা কিনে আনেন। কিন্তু নানান অজুহাতে বছরে বছরে এ লতা আর বাঁশের দর বাড়ছে। তবে উজ্জ্বল নামে অপর এক কারিগর জানান, যে ধরনের বাঁশ দিয়ে চাঁই-বুচনা-গড়া তৈরি করা হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বাঁশের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন অনেকটা বেগ পেতে হয় তা যোগাড় করতে। এ কারণে বাঁশের দাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে। আর বাড়তি দামে কাঁচামাল সংগ্রহ করে চাঁই বানিয়ে যখন বিক্রি করা হয় তখন বিগত সময়ের চেয়ে দরের তেমন একটা তারতম্য হচ্ছে না। তাই কারিগরদের দিনও ভালো যাচ্ছে না। সংসার চালাতে গিয়ে অর্থসংকটেও পড়তে হচ্ছে তাদের। সেক্ষেত্রে মহাজন, গ্রাম্যসুদি নয়তো ঋণদাতাদের কাছে ছুটতে হচ্ছে। কারিগরদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বর্ষা মৌসুমে চাঁইয়ের কদর বেশি থাকায় সেসময় এর কাজ বেশি হয়। তবে মৌসুম গেলে অনেকটা সময় বেকার থাকতে হয় তাদের। মৌসুমে পাঁচ দিনে এক কুড়ি চাঁই একজন শ্রমিক তৈরি করতে পারেন। যদি সেসব চাঁই শ্রমিকরা পাইকারি হিসেবে বিক্রি করেন, তাহলে এক কুড়ি চাঁইয়ে দাম পেতে পারেন ৫-৬ হাজার টাকা, যদিও এগুলো খুচরো বাজারে বিক্রি হয় প্রায় দ্বিগুণ দামে। আর তাতে কারিগরদের থেকে বেশি লাভবান হন পাইকাররা। বরিশালের মাহিলার হাটের ক্রেতারা বলছেন, পানি বাড়ার কারণে চাঁই-বুচনা-গড়ার চাহিদা বেড়েছে। কদর বাড়ায় গতবারের চেয়ে এবার এর দাম বেশি বলেই মনে হচ্ছে। তবে কারিগররা বলছেন, এখন পর্যন্ত যে দরে এসব মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রি হচ্ছে তাতে পণ্য আর শ্রম মিলিয়ে তেমন একটা লাভ হচ্ছে না তাদের। যদিও গত দুই হাট ধরে মাহিলার, পয়সারহাটে চাঁই-গড়া-বুচনার বিক্রি ভালোই হচ্ছে বলে দাবি পাইকারদের।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com