আমতলী প্রতিনিধি ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে অনৈতিক ও ষড়যন্ত্রমুলক অনাস্থা প্রস্তাবের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে চতুর্থ দিনের মত মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। গুলিশাখালী ইউনিয়ন বাসীর উদ্যোগে গোজখালী বাজারে এ মানববন্ধনে অন্তত দুই হাজার মানুষ অংশগ্রহন করেন। জানাগেছে, আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম সরোয়ার ফোরকানের অনাস্থা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে আমতলীতে চলছে তুলকালাম কান্ড। তার সমর্থক ও সাধারণ মানুষ এ অনাস্থা প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। ওই আন্দোলনের ধারাহিকতায় উপজেলার ইউনিয়নে ইউনিয়নে চলছে মানববন্ধন কর্মসুচী। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার দিন ধরে চলছে মানববন্ধন। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে এ মানববন্ধনে হাজার হাজার লোক অংশ গ্রহন করছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোজখালী বাজারে এক মানববন্ধন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়। ওই মানববন্ধনে অন্তত দুই হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। সাবেক ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দিন আহম্মেদ সামসুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খান, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ দেওয়ান, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ হারুন অর রশিদ মোল্লা,
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল খোকন মৃধা, উপজেলা যুবলীগ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম সোহাগ, আসাদুর রহমান আসাদ মৃধা, হাবিবুর রহমান হাওলাদার, মাওলানা মোঃ আলাউদ্দিন, ইউপি সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির
মাতুব্বর প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে যারা অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন তা অযৌক্তিক। এই অযৌক্তিক অনাস্থা প্রস্তাব জনগন প্রত্যাখ্যান করেন। অনতিবিলম্বে এই অযৌক্তিক অনাস্থা প্রস্তাব তুলে নেওয়ার দাবী জানান তারা।
উল্লেখ গত ১৭ আগষ্ট আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম সরোয়ার ফোরকানের বিরুদ্ধে পরিষদ পরিচালনায় ব্যর্থ এবং ব্যাক্তি স্বার্থে অনৈতিক সুবিধাসহ ১০ টি অভিযোগ এনে আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান ও ৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১২ জন সদস্য বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব দেন। ওই অনাস্থা প্রস্তাব জনগন প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক আন্দোলনের ডাক দেন। আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনৈতিক প্রস্তাব আমি মেনে নেইনি বিধায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, তারাতো শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে ছিল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তারা আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করেছেন। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তারাই আমার বিরুদ্ধে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র লিপ্ত আছেন। যারা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের বিগত দিনের কর্মকান্ড তদন্ত করে দেখার দাবী জানাই।
Leave a Reply