দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুঁইয়ে দেশে ফিরে গ্রেপ্তার ৮১ জন শ্রমিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে তুরাগ থানা পুলিশ আদালতে তুললে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাশ চন্দ্র অধিকারী।
গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে দেশে ফেরেন ১০৭ বাংলাদেশি। তাদের পাঠানো হয় রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন। কোয়ারেন্টিন শেষে তারা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় তাদের মধ্যে ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানা পুলিশ। জানা গেছে, ২৬ জনকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসমাউল হুসনা বলেন, ভিয়েতনাম থেকে দেশে ফিরে গ্রেপ্তার ৮১ জন শ্রমিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদেরকে দেশে পাঠানো হয়েছিল। তাদের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও এসেছিল ভিয়েতনাম থেকে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এই ৮১ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, ছেড়ে দেয়া ২৬ জন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে এজেন্সি ও দালালরা সেখানে তাদের পাসপোর্ট জব্দ করেছে বলে দাবি করেন।
দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে মধ্য জুলাইতে এই শ্রমিকেরা ভিয়েতনামের ভুং তাও থেকে এক হাজার ৬৭৭ কিলোমিটার দূরের হ্যানয়ে এসে সেখানকার বাংলাদেশি দূতাবাসের সামনে অবস্থান নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভিয়েতনাম সরকার পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। দালালের খপ্পরে পড়া অভিবাসী শ্রমিকদের প্রত্যেকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে ভিয়েতনামে যান। তাদের দাবি, কোনো অন্যায় না করার পরও তাদের বিরুদ্ধে পুলিশি তৎপরতার কারণ তারা বুঝতে পারছেন না।
Leave a Reply