নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রাসেলের বিরুদ্ধে তালাক প্রাপ্ত গৃহবধূর খোরপোষের অর্ধেক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গৃহবধূ নুপুর এই ব্যাপারে চরফ্যাশন থানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগ ও স্থনীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের শাহজল দালালের কন্যা নুপুর বেগমের সাথে আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনের সাথে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের সাংসারিক জীবনে ৯ ও ৬ বছরের দু‘টি পুত্র সন্তান রয়েছে। সংসারের খুটি-নাটি ঝগড়া বিবাধের এক পর্যায় স্বামীর বিরুদ্ধে নুপুর চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়ের করেন।
থানা থেকে গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হোসেনকে মুক্ত করতে এবং নুপুরের পরিবারের সাথে কথা বলে উভয় ফয়সালার দায়িত্ব নেন আবদুল্লাহপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন রাসেল। সাবেক ইউপির চেযারম্যান রাসেল ও আবদুল্লাপুর সাবেক ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দিনসহ মোট ১লাখ ২০হাজার টাকা গৃহবধূ নুপুরের বরণ পোষন বাবদ নির্ধারণ করা হয়েছে। নুপুরের স্বামী আনোয়ারের কাছ থেকে জসিমের মাধ্যমে ১লাখ ২০হাজার টাকা তার কাছে পৌছার সাথে সাথে ওই টাকার মধ্যে ৬০হাজার টাকা নুপুরের বোন নুরজাহানের আমিনাবাদ এলাকার বাড়ীতে গিয়ে নুরজাহানকে দিয়ে নুপুরের কাছ থেকে জোরপূর্বক ডির্পোস লেটারের সই স্বাক্ষর নেয়া হয়। নুপুর বাকী টাকা চাইতে গেলে তাকে হুমকী ধামকী দেয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন।
নুপুর জানান, তাকে মীমাংসার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিন্তু আমার টাকা আত্মসাত করার দায়িত্ব তো দেয়া হয়নি, কেন করেছে। আমি বাকী ৬০হাজার টাকা পাওয়ার জন্যে চরফ্যাশন থানায় অভিযোগ করছি। নুপুরের বোন নুরজাহান বলেন, আমি ১লাখ ২০হাজার টাকা পাইনি মাত্র ৬০হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এই ব্যপারে ইসমাইল হোসেন রাসেল বলেন, তালাক হয়েছে ভরনপোষনের জন্যে ৭০হাজার টাকা ধার্য্য ছিল। মেয়ের পরিবারকে ৬৫হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। নিকাহ রেজিষ্টার ও স্থানীয় চৌকিদার খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনির হোসেন মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এস আই নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এস আই নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply