মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় কুষ্টিয়ায় ৮ পুলিশ চাকরিচ্যুত

ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় কুষ্টিয়ায় ৮ পুলিশ চাকরিচ্যুত

ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়ায় কুষ্টিয়ায় আট পুলিশ সদস্যকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই জন উপ-পরিদর্শক (এসআই), দুই জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এবং বাকিরা কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও এক সার্জেন্টসহ আরও দুই জনের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এর আগে মাদক নির্মূলের পাশাপাশি মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন জেলার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত। গত দেড় বছরে ১১ জন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানো হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনের পজিটিভ এসেছে। আর বাকি একজনের কাছে ইয়াবা ও গাঁজা পাওয়া গেছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আইজিপির নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেন পুলিশ সুপার। তিনি সহেন্দভাজন ও গোয়েন্দা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানোর নির্দেশ দেন।

 

পরীক্ষায় এসব সদস্য নিয়মিত মাদক সেবন করে রিপোর্ট আসে। ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক তারা নিয়মিত গ্রহণ করতো বলে রিপোর্টে জানা যায়। এরপর গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১১ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে ৯ জনই মাদক সেবন করতো বলে ধরা পড়েছে। তারা সবাই কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন।

রিপোর্ট আসার পর পুলিশ সুপার তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেন। এদের সবার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মাদকের বিষয়টি ধরা পড়ায় বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি প্রথম দিকে অন্য জেলায় বদলি করা হয় এসব সদস্যকে। এর মধ্যে এক এসআইকে রাঙ্গামাটি জেলায় বদলি করা হয়েছিল। আর ওই সার্জেন্টকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে মাদক সেবনের বিষয়টি ধরা পড়ার পর সবাইকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়।

তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর ৮জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এখন এক সার্জেন্টসহ দুই অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, মাদকের সাথে কোনো আপোষ নয়। তাই শুদ্ধি অভিযান চলছে। ডোপ টেস্টে ৯ জনের মাদক গ্রহণের বিষয়টি ধরা পড়েছে। আর একজনের কাছে মাদক পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আরও দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। আমরা কুষ্টিয়া থেকে মাদক নির্মূলের পাশাপাশি পুলিশ থেকেও চিরতরে মাদকাসক্তদের বাড়িতে পাঠাতে চাই। কোনো মাদক সেবনকারীর পুলিশ চাকরি করার অধিকার নেই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com