স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল সদর উপজেলাসহ জেলার ১০ উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের আশ্রায়ন প্রকল্পের-২ এর মাধ্যমে এক হাজার পাঁচশত ছাপান্ন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ২ শতাংশ জমির উপর নির্মিত ঘর হস্তার করার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী শানিবার (২৩ই) জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশালের এসকল ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজ ধাঁনসিড়ি মিলনায়তন সভা কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয় নিশ্চিত করেন সদ্য যোগদানকৃত জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এ প্রকল্পের রক্ষাণবেক্ষন দায়িত্ব পালনকারী বরিশাল জেলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলি সুজা প্রমুখ। এসময় জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, প্রথম প্রর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের মাধ্যমে বরিশাল সদর উপজেলার ১শত ৫৭টি পরিবারের মধ্যে প্রথম প্রর্যায়ে ১শত ৫৭টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। অপরদিকে জেলার বাকেরগঞ্জে প্রথম প্রর্যায়ে ১২০টি পরিবারের মধ্যে ৭০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তীতে আরো ৫০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। মেহেন্দিগঞ্জে ২৫২টি পরিবারের মধ্যে ১০০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। উজিরপুরে ৭০ পরিবারের ৭০ জনকে ঘর হস্তান্তর করা হবে। বানারীপাড়ায় ২০০টি পরিবারের মধ্যে প্রথম প্রর্যায়ে ১২৫টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। অবশিষ্ট ৭৫টি নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণের পর হস্তান্তর করা হবে। গৌরনদী উপজেলায় ২০০টি পরিবারের মধ্যে প্রথম প্রর্যায়ে ১২০টি পরিবারে ঘর দেয়া হবে। বাকি ৮০টি প্রর্যায়েক্রমে দেয়া হবে। মুলাদী উপজেলায় ৩০০টি পরিবারের মধ্যে ১৭০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে বাকি ১৩০টি পরবর্তীতে দেয়া হবে। বাবুগঞ্জ উপজেলায় ১৭০টি পরিবারের মধ্যে এখন পাবে বাকি ১১০টি পরিবারে দেয়া হবে পরবর্তীতে আরো ৬০টি ঘর নির্মাণের পর দেয়া হবে। হিজলা উপজেলার ৫১টি পরিবারের সকলকে শনিবার ঘরের চাবি তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে। আগৈলঝাড়া উপজেলার ৩৬টি পরিবারের মধ্যে ৩৬জনকে ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে। প্রথম প্রর্যায়ে জেলায় ১৫৫৬টি পরিবারের মধ্যে ১০০৯টি পরিবারের মাঝে ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে। খুব শিঘ্রই অবশিষ্ট ৫৪৭টি ঘর না পাওয়া পরিবারের মাঝে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য দ্রুত কাজ চলছে। একমাত্র বরিশালের অগৈলঝাড়া উপজেলায় ৩৬টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ঘর পেয়েছে। এখানে অন্য সকলের বাসস্থান রয়েছে। সবচেয়ে ভুমিহীন পরিবার জেলার মুলাদীতে ২০০জন, মেহেন্দিগঞ্জে ২৫২ ও গৌরনদী এবং বানারীপাড়া উপজেলায় ২০০টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলেন। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিটি ঘর ৩ শত ৫৪ বর্গফুট ২ শতাংশ জমির উপর ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যায়ে ২টি কক্ষ, বারান্দা, ওয়াসরুম সহ ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন করা হয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন বর্তমানে জমি ও গৃহীন পরিবারদের জন্য বরাদ্দ দেয়া ঘরগুলো ঝুকিপূর্ণ বর্ধিত এলাকার বাহিরে টেকসই নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এখানে যারা এখন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘর পেলেন তাদের মাঝে ক্ষুদ্রঋন প্রকল্পের মাধ্যমে এদেরকে স্বাবলম্বি হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া সামনের প্রকল্পে রয়েছে যাদের ভূমি রয়েছে ঘর নেই তাদের নিয়ে আমরা কাজ করব বলে জেলা প্রশাসক জানান।
Leave a Reply