উজিরপুর প্রতিনিধি ॥ উজিরপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত গৃহবধূ নুপুর গর্ভের সন্তান নস্ট হওয়ার আশংকায় দিন কাটাচ্ছে। নুপুর শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সন্ত্রাসীরা হাসপাতাল হতে নাম কেটে দেওয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। লোকমুখে শোনা যায় মিথ্যা মামলায় ফাসানো হবে নুপুরের আত্মীয় স্বজনদের। নুপুরের বাবা মা প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাদের সম্পত্তি জোর পূর্বোক ভোগদখল করে মৃত্যু কাছেম আলী হাওলাদের পুত্র খলিল, ও আজগর হাওলাদার। এ বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে ছিল। পরবর্তীতে শালিস মিমাংসার মাধ্যমে ফয়সালা হয়। উল্লেখ্য উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী আলীহোসেন হাওলাদার গৃহ নির্মাণের জন্য বালু আনলে তার ভাই খলিল ও আজগর বাধা প্রদান করে। আলী হোসেন প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকির এক পর্যায়ে গায়ে হাতদেয় খলিল ও আজগর। তাদের বাধার মুখে বালু ঢুকাতে পারেনা আলী হোসেন হাওলাদার। রবিবার আলী হোসেন’র কন্যা নুপুর বেগম (৩০) বেড়াতে আসলে সৃস্ট ঘটনার কথা জানতে পেরে বালু ঢুকাতে নিষেধের কারন জানতে চায়। খলিল আজগর ও আজগরের স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা নুপুর বেগমকে বেধরক পিটিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এসময় নুপুরকে কিল ঘুষি মেরে গভীর পুকুরে ফেলে দেয় তারা। নুপুরের ডাকচিৎকারে তার মা বাবা ছুটে আসলে তাদের উপর হামলা চালায় এরা। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই নুপুর বেগম ও আলী হোসেনকে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে উজিরপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আহত নুপুর বেগমের স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনা শুনে প্রথমে আমার স্ত্রী নুপুর ও শ্বশুরের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেই। পরবর্তীতে উজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জের সাথে দেখা করি। এবং এস আই কালামের সাথে যোগাযোগ করি তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যপারে উজিরপুর থানার এস আই কালাম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply