স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫১ আসনে দলীয় মনোনয়ন মোটামুটি চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। সরকারি-বেসরকারি একাধিক জরিপের মাধ্যমে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামগুলো বাছাই করা হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এ ১৫১ প্রার্থী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চূড়ান্ত তালিকায় যারা রয়েছেন তাদের অনেককেই ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে মনোনয়নের বিষয়টি জানিয়ে নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে আসনভিত্তিক একাধিক জরিপ করা হয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা, দলীয় বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে জরিপগুলো চালানো হয়েছে। সব জরিপের ফল একসঙ্গে বিশ্লেষণ করে কিছু আসনের প্রার্থী প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল ৫ সদর আসন নিয়ে রয়েছে অনেক জল্পনা কল্পনা। সদর আসন নিয়ে কোনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও এ আসনটি রয়েছে আলোচনার শীর্ষে। ৫ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে হাইকমান্ডের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সদস্য যুববন্ধু আরিফিন মোল্লা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ¯েœহধন্য যুববন্ধু এই আরিফিন মোল্লা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন খচিত ব্যানারে টাঙ্গিয়ে বরিশাল ৫ আসনসহ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান পরিপূর্ন করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজরে থাকা এই তরুন উদিয়মান নেতাই বরিশাল ৫ আসনের জন্য পারফেক্ট বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা। তিনিও সেই আদলে চলছেন ও জনগনের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন অনবরত। দক্ষিন বঙ্গের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর আস্থাভাজন আরিফিন মোল্লা অনেক আগে থেকেই তার আশির্বাদ নিয়ে রাজনীতি করে আসছেন। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন, জনগনের সান্নিধ্যে থাকা, আস্থা অর্জন করার প্রচেস্টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক এ যুববন্ধু আরিফিন মোল্লা। ইতোমধ্যে জনগনের আস্থা অর্জন করে রয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী তথা হাইকমান্ডের সুনজরে রয়েছেন এই তরুন নেতা। শেষ সময়ে বরিশাল ৫ সদর আসনের জনগনকে চমকে দিতে পারেন এই তরুন যুববন্ধু আরিফিন মোল্লা।
যেসব আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন হতে পারে এখন ওই আসনগুলো নিয়ে চুলছেরা বিশ্লেষণ চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর একজন সদস্য এ বিষয়ে বলেন, গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একান্ত আলাপে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই একাধিকবার প্রার্থী জরিপের কথা জানিয়েছেন। ২০০ আসনে প্রার্থী জরিপ চূড়ান্ত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির গত বৈঠকের আগের বৈঠকে জানিয়েছিলেন সভাপতি নিজেই।
এখন ওই ২০০ আসনের মধ্য থেকে ১৫১ জনের মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু আসনে প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ১৬০টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করব। দুই ধাপে এটি হবে।
প্রথম ধাপে ১০০, পরের ধাপে ৬০ প্রার্থী। এরপর যেসব দলের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী জোট রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি আসনগুলোয় প্রার্থী ঠিক করা হবে। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চূড়ান্ত প্রার্থীদের অনেককেই চুপচাপ জানানো হচ্ছে, এলাকায় গিয়ে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সংসদের সংসদীয় আসনের ক্রমানুসারে আওয়ামী লীগের ১৫১জন সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন নুরুল ইসলাম সুজন, পঞ্জগড়-২; রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-১; মনোরঞ্জন শীল গোপাল, দিনাজপুর-১; খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-২; ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৩; মোস্তাফিজুর রহমান, দিনাজপুর-৫; আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-২; মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-১; নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-২; টিপু মুনশি, রংপুর-৪; মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-২; ইউনুস আলী সরকার, গাইবান্ধা-৩; আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জয়পুরহাট-২; আবদুল মান্নান, বগুড়া-১; হাবিবর রহমান, বগুড়া-৫; সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-১; শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-২; ইসরাফিল আলম, নওগাঁ-৬; ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-১; এনামুল হক, রাজশাহী-৪; আবদুুল ওয়াদুদ, রাজশাহী-৫; শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-৬; শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-২; জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-৩; মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-১; হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ-২; হাসিবুর রহমান স্বপন, সিরাজগঞ্জ-৬; মকবুল হোসেন, পাবনা-৩; গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, পাবনা-৫; ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-১; মাহবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৩; আবদুর রউফ, কুষ্টিয়া-৪; আলী আজগর, চুয়াডাঙা-২; তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ঝিনাইদাহ-২; আনোয়ারুল আজীম আনার, ঝিনাইদহ-৪; শেখ আফিল উদ্দীন, যশোর-১; মনিরুল ইসলাম, যশোর-২; কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৩; স্বপন ভট্টাচার্য্য, যশোর-৫; বীরেন শিকদার, মাগুরা-২; কবিরুল হক, নড়াইল-১; শেখ হেলাল উদ্দীন, বাগেরহাট-১; এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, বাগেরহাট-৪; এস এম মোস্তফা রশিদী, খুলনা-৪; নারায়ণ চন্দ্র চন্দ খুলনা-৫; মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-২; আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-৩; এস এম জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা-৪; ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-১; জোবায়দুল হক রাসেল, পটুয়াখালী-২; আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন পটুয়াখালী-৩; তোফায়েল আহমেদ ভোলা-১; নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৩; আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৪; আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১; তালুকদার মো. ইউনুস বরিশাল-২; পংকজ দেবনাথ বরিশাল-৪; আমির হোসেন আমু ঝালকাঠি-২; আবদুুর রাজ্জাক টাঙ্গাইল-১; হাসান ইমাম খান টাঙ্গাইল-৪; ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৫; অনুপম শাহজাহান জয়, টাঙ্গাইল-৮; আবুল কালাম আজাদ জামালপুর-১; মির্জা আজম, জামালপুর-৩; আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর-১; মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-২; জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ-১; ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, ময়মনসিংহ-১০; মারুফা আক্তার পপি- জামালপুর-০৪; ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, নেত্রকোনা-৫; সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-১; রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৪; আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৫; নাজমুল হাসান, কিশোরগঞ্জ-৬; এ এম নাঈমুর রহমান, মানিকগঞ্জ-১; মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-২; জাহিদ মালেক, মানিকগঞ্জ-৩; মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জ-৩; কামরুল ইসলাম, ঢাকা-২; নসরুল হামিদ, ঢাকা-৩; সাবের হোসেন চৌধুরী, ইসমাইল চৌধুরি সম্রাট, ঢাকা-৮; ঢাকা-৯; শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১০; এ কে এম রহমতউল্লাহ, ঢাকা-১১; আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১২; জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৩; সাবরিনা আক্তার তুহিন, ঢাকা-১৪; কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৫; ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৬; এনামুর রহমান, ঢাকা-১৯; আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-১; জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-২; বর্তমান এমপি রহমত আলীর ছেলে জামিল হাসান দুর্জয়, গাজীপুর-৩; সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুর-৪; মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-৫; নজরুল ইসলাম, নরসিংদী-১; কামরুল আশরাফ খান, নরসিংদী-২; সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নরসিংদী-৩; নুরুল মজিদ হুমায়ুন, নরসিংদী-৪; গোলাম দস্তগীর গাজী, নরায়ণগঞ্জ-১; নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-২; এস এম মাসুদ দুলাল, নারায়ণগঞ্জ-০৩; শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪; কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-১; জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ী-২; আবদুর রহমান, ফরিদপুর-১; খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-৩; মুহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-১; শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ-২; শেখ হাসিনা, গোপালগঞ্জ-৩; নুর ই আলম চৌধুরী লিটন, মাদারীপুর-১; শাজাহান খান, মাদারীপুর-২; বিএম মোজাম্মেল হক, শরীয়তপুর-১; ; এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-২; নাহিম রাজ্জাক, শরীয়তপুর-৩; এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৩; মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-৫; মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, সিলেট-৩; ইমরান আহমেদ, সিলেট-৪; নুরুল ইসলাম নাহিদ, সিলেট-৬; শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-১; আবদুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-২; আবু জহির, হবিগঞ্জ-৩; মাহবুব আলী, হবিগঞ্জ-৪; র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩; আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪; এ বি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬; সুবিদ আলী ভূইয়া, কুমিল্লা-১; সেলিমা আহমদ, কুমিল্লা-২; ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৩; রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা-৪; আবদুল মতিন খসরু, কুমিল্লা-৫; আ ক ম বাহাউদ্দীন, কুমিল্লা-৬; ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত কুমিল্লা-৭; তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৯; আ হ ম মুস্তফা কামাল, কুমিল্লা-১০; মুজিবুল হক, কুমিল্লা-১১; মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, চাঁদপুর-২; শামসুল হক ভূইয়া, চাঁদপুর-৪; মোরশেদ আলম, নোয়াখালী-২; মামুনুর রশীদ কিরণ, নোয়াখালী-৩; একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৪; ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী-৫; ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-১; মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম-৩; হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৭; আবদুল লতিফ, চট্টগ্রাম-১১; শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২; সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩; নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪; আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-২; সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-৩; আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজার-৪; বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, পার্বত্য বান্দরবান।
Leave a Reply