মঠবাড়িয়া প্রতিবেদক ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষকে জব্দ করার জন্য মাদকাসক্ত বাবা নিজের মেয়েকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভাযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকালে উপজেলার দক্ষিন বাদুরতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগে জানা গেছে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৭নং বাদুরতলী এলাকার মৃত আঃ মজিদ আকন্দের ছেলে সোহরাব আকন্দের সাথে জমিজমা নিয়ে একই গ্রামের ইউসুফ মোক্তারের ছেলে লিটন মোক্তার গংদের দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল।আর এ বিরোধের জের ধরেই এ ঘটনাটি ঘটে। মোঃ লিটন মোক্তার জানান,দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সোহরাব আকন্দের সাথে জমিজমা নিয়ে আমাদের বিবাদ চলে আসছে।আমার বাবা মারা যাওয়ার পর সোহরাব গংরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।আমাকে আমার পৈতৃকভূমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সকল অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।আমাদেরকে জব্দ করার জন্য নিজের মেয়েকে জবাই করে মিথ্যা মামলার হুমকি দেওয়ার মাস তিনেক পরেই গত বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি ঘটায় সোহরাব আকন্দ। তিনি আরো জানান, ইতোপূর্বে সোহরাব আকন্দ উপজেলা চেয়ারম্যানের রায় বারবার অমান্য করেছে।স্হানীয় কোন সালিশী ব্যবস্হা মানেনা সে।
এ ব্যাপারে বাদুরতলী ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি হালিম আকন্দ জানান, বৃহস্পতিবার সোহরাব আকন্দের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের মাথায় জখম করার ঘটনাটি সম্পূর্ন সাজানো নাটক। স্থানীয় খোকন ও সোহরাব আকনের স্ত্রীর সহযোগীতায় প্রতিপক্ষকে জব্দ করার জন্য সোহরাব আকন্দ এ ঘটনাটি ঘটায়।এর সুষ্ঠু বিচার না হলে পরবর্তীতে তারা লিটন মোক্তার গংদের ফাঁসানোর জন্য বড় কোন ঘটনা ঘটাতে পারে।সাক্ষাতকার নেওয়ার সময় স্হানীয় আজিজুল ইসলাম,রুহুল আমিন,আলম বেপারী,হানিফ মিয়া,বাবুল মিয়াসহ অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্হিত ছিলেন। স্হানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান জানান, এ ধরনের ঘটনা উভয় পক্ষের কেউই আমাকে জানায়নি। তবে স্হানীয় শাহাদাত হোসেনের কাছে শুনেছি বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম জোমাদ্দারকে ফোরম্যান মনোনীত করে সালিশ বরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply