মঙ্গলবার, ১০ Jun ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
মঠবাড়িয়ায় ফসলি জমিতে বাড়ছে ইট ভাটার সংখ্যা ; দেখার কেউ নেই

মঠবাড়িয়ায় ফসলি জমিতে বাড়ছে ইট ভাটার সংখ্যা ; দেখার কেউ নেই

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে ইটের ভাটা। এ কারণে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি। পরিবেশ আইন-২০১৩ উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে অবাধে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা।সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে এসব ইট ভাটা আবাদি জমির মাটি সংগ্রহ করছে ভাটা মালিকরা।
জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলায় শতাধিক ইট ভাটা রয়েছে। প্রতিটি ইট ভাটা স্থাপন করা হয়েছে আবাদি জমি ও জনবহুল এলাকায়। আবাদি জমির ফসল যাতে ক্ষতি না হয় সেই কারণে ফসলি জমি ও জনবহুল এলাকায় ইট না পোড়ানোর সরকারি নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ম না মেনেই মালিকরা একের পর এক ফসলি জমি ধ্বংস ও গাছ পালাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করেই তৈরি করা হচ্ছে ইট, সৃষ্টি হচ্ছে গভীর জলাশয়। ফলে হাজার হাজার বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় পোড়ানো হচ্ছে বন ও ফলজ গাছপালা। মাঝে মধ্যে প্রশাসন এসে জরিমানা করলেও থামছে না অনিয়ম।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঠবাড়িয়ায় শতাধিক ইটভাটায় (পুইন) জ্বালানি হিসেবে প্রতিদিন পোড়ানো হচ্ছে হাজার হাজার মন কাঠ। আর এসব ভাটা গড়ে উঠছে ফসলি জমিতে। সবগুলো ভাটাতেই কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ফসলি জমির উর্বর মাটি। ক্ষতিকারক এসব ভাটার কারণে জমির ফসল, ফলন এবং ফসলি জমি কমছে। প্রশাসনকে প্রতিবছর মাশোয়ারা দিয়েই চালানো হচ্ছে এ অবৈধ ব্যবসা। দেশ এখন অনেকটাই আমলাতান্ত্রিক হয়ে গেছে বলে মনে করেণ অনেকেই। টাকা দিলেই অনিয়মটা হয়ে যায় নিয়ম আর নিয়মটা হয়ে যায় অনিয়ম।
তবে কেউ কেউ মনে করেন, সরকারের উচিত কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো সম্পূর্ন বন্ধ করা অথবা বৈধতা দেওয়া। ঘুষের বিনিময়ে অবৈধ ইট পোড়ানোকে বৈধতা দেওয়ায় একদিকে যেমন ইটের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরদিকে প্রশাসনের প্রতি সাধারন মানুষের আস্থা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ইট ভাটার পাশের জমিতে ভাল ফলন পাচ্ছে না প্রান্তিক কৃষকরা। মঠবাড়িয়ার কিছু ইট ভাটার মালিক জানায়,আমাদের ইউ এন ও অফিসের লিটনের সাথে যোগাযোগ করেই ইট পোড়াতে হয়। যোগাযোগ না করলে করা হয় জরিমানা অথবা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয় কাঁচা ইট। যোগযোগ মানে কারো কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, কারো কাছ থেকে ৪০ হাজার আবার কারো কাছ থেকে ৫০-৬০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে লিটন মিয়া জানান,কাঠ দিয়ে ফসলি জমিতে ইট পোড়ানো সম্পূর্ন অবৈধ। এ অনিয়ম আমরা কখনো সমর্থন করি না। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জি এম সরফরাজ জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাটা (পুইন) থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সংগ্রহ করেছি। আমরা এ ব্যাপারে এখনও সজাগ আছি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেব। মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন রাজা মিয়া জানান, ইট ভাটার মালিকরা শুধু তাদের নিজেদের জমিই ক্ষতি করছে না পার্শ্ববর্তী ফসলি জমিও নষ্ট করছে। এ অনিয়ম বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com