লুৎফুল হাসান রানা, কলাপাড়া ॥ কলাপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর যুবলীগ সভাপতি জাকি হোসেন জুকু আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে ও মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কাউন্সিলর জুকু’র নিজস্ব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খান এন্টার প্রাইজে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাউন্সিলর জুকু দাবী করেন, প্রতিপক্ষ কামাল হোসেন একজন প্রতারক, দুস্কৃতিকারী ও আত্মসাতকারী শ্রেনীর মানুষ। তাঁর সুখ্যাতি, সুনাম নষ্ট করার জন্য ঐ কচক্রী কামাল এ মিথ্যা অপহরন ও চাঁদা দাবীর মামলা করেন। মামলায় বর্নিত ১মার্চ তারিখে ঘটনাস্থলে কোন ঘটনাই ঘটেনি। প্রতিপক্ষ কামাল হোসেন ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এবং নিজের দোষ ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রতারনা ও জালিয়াতির আশ্রয় নেয়। এমনকি তার দায়েরকৃত ৪৫ নম্বর জিডি’র ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশ উপ-পরিদর্শক শওকত জাহান আদালতে আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জুকু আরো দাবী করেন, কামাল হোসেনকে তাঁর মালিকানাধীন পায়রা ব্রিক্স, খান ব্রিক্স ও দেশ ব্রিক্স’র ম্যানেজার হিসেবে ২০১৬ সালে নিয়োগ দেয়া হয়। উক্ত ৩টি ব্রিক ফিল্ডে ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ম্যানেজারের দায়িত্বে থেকে হিসাব নিকাশ না দিয়া কামাল হোসেন পালিয়ে যান। এরপর কামাল চাকামাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামত, ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদার ও চম্পাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদারসহ আরো গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কামাল’র সাথে হিসাবান্তে তার পাওনা ২ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা পরিশোধের জন্য কামাল তার ইসলামী ব্যাংক ৪৯০ হিসাবের দু’টি চেক স্বাক্ষর করে প্রদান করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন তাঁর অনুসারী কর্মী, সমর্থক, কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির, সাবেক সভাপতি শামসুল আলম, সাবেক সভাপতি মেজবাহ উদ্দীন মান্নু, সাধারন সম্পাদক মোশারেফ হোসেন মিন্টু, সাংবাদিক অমল মূখার্জী, গৌতম হাওলাদার, কবির তালুকদার, সাংবাদিক রাসেল কবির মুরাদ, জসিম পারভেজ, সুজন মৃধা, রাসেল মোল্লা, প্রমূখ।
এ বিষয়ে জুকু’র বিরুদ্ধে অপহরন ও চাঁদা দাবী’র মামলার বাদী মো: কামাল হোসেনের সাথে তার মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply