শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৭ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ সরকারি বিধিনিষেধ আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানোয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ল। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা লকডাউন থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে এমনিতেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে সরকারি বিধিনিষেধ ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হলো। রোববার (৬ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসা। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হয়ে অবনতি হচ্ছে। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণায় শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে। এখন সরকারি বিধিনিষেধ নতুন করে বাড়ায় বিষয়টি নতুন করে চিন্তা করতে হবে। এটা নিয়ে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের ও করোনা মোকাবিলায় সরকারের গঠিত কারিগরি কমিটির সঙ্গে কথা বলে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিব। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইতোমধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন। রাজধানীর দুটি আলাদা প্রোগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে আমরা ঝুঁকি নেব না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামা জরুরি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এ অবস্থায় আগামী ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোনো ঝুঁকি নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না বা খোলা কতটা যৌক্তিক হবে, সে বিষয়ে ইতোমধ্যে নানা বক্তব্য আসছে। এর আগে গত সপ্তাহে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না। জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেছেন, সরকারের ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। শেষ প্রস্তুতি হিসেবে স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা পেলেই প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সরকারের নীতি নির্ধারকদের ব্যাপার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সব ধরনের প্রস্তুতিই আমাদের আছে। ২৬ মে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে করোনার টিকার আওতায় আনার ওপর। এর আগে তিনি বলেন, ‘যদি ১৩ জুন স্কুল-কলেজগুলো খুলে দিতে পারি সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি ব্যাচকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তারা হয়তো সপ্তাহের ছয়দিন ক্লাসে আসবে। যারা ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তাদের ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে ক্লাসে নিয়ে আসা হবে। অন্যদের বিষয়ে সপ্তাহে হয়তো একদিন ক্লাসে আনা হবে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এটি চলছে। বন্ধ রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে চাই। মাঝখানে করোনার পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝখানে হঠাৎ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। ঈদে বাড়ি যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। এসব বিষয়ও আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে।’ সেসময় দীপু মনি আরও বলেন, জীবন-জীবিকার জন্য সবকিছু চলছে। অর্থনীতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙা রয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন খোলা হচ্ছে না, সবাই এমন প্রশ্ন করছেন। আমাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, শুধু শিক্ষার্থী নয় তাদের পরিবারও আছে। তাদের বাসায় অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ রয়েছেন, তাদের বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com