বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ০৫:০২ অপরাহ্ন

প্রধান পৃষ্ঠপোষকঃ মোহাম্মদ রফিকুল আমীন
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ জহির উদ্দিন স্বপন
সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতিঃ এস. সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু
প্রধান সম্পাদকঃ লায়ন এস দিদার সরদার
সম্পাদকঃ কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদকঃ মাসুদ রানা পলাশ
সহকারী সম্পাদকঃ লায়ন এসএম জুলফিকার
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলন করে কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আনলেন গৌরনদীর বিএনপি নেতা সজল সরকার স্বানাপ সিন্ডিকেটে বন্ধি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতাল গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’-আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার দোয়া মাহফিল রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে প্রশংসিত বরিশাল উত্তর জেলা নারী নেত্রী বাহাদুর সাজেদা বরিশালে সাংগঠনিক সফরে আসছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: মাহমুদা মিতু দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম
জীবিত গাছ মরা দেখিয়ে কাটার চেষ্টা

জীবিত গাছ মরা দেখিয়ে কাটার চেষ্টা

ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলায় টেন্ডার ছাড়াই কাটা হচ্ছে সদর উপজেলা পরিষদের গাছ। সরকারি গাছ হওয়ায় এগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কাটার কথা থাকলেও উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারি মো. মাহফুজের নির্দেশে গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর পাশ থেকে একটি রেইনট্রি গাছ অফিস সহকারি মাহফুজ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে শ্রমিক দিয়ে কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, উপরের নির্দেশেই গাছ কাটা হচ্ছে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। তবে মাহফুজ এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মামুন আল ফারুক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেখান। সেখানে জীবিত গাছগুলোকে মরা, ঝড়ে উপরে পড়া ও বিনষ্টযোগ্য দেখানো হয়। এর আগেও উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন যায়গা থেকে মেহেগুনি, আকাশমণি, রেইনট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০টি গাছ টেন্ডার ছাড়াই কেটে ফেলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, সেই সব গাছে বেশিরভাগই অফিস সহকারি মাহফুজ নিয়ে গেছেন। জানা যায়, গত বছরের আগষ্ট মাসে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর, ড্রেন ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ সুযোগে পরিষদের ভিতরের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। যদিও সরকারি নিয়মে কোনো কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে জীবিত গাছ কাটার প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের পূর্ব-অনুমতি ন্ওেয়ার কথা রয়েছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত মাহফুজ বলেন, উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য গাছ কাটার প্রয়োজন হওয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সেটি এখনও অনুমোদন হয়নি। তাই আমরা গাছের ডাল-পালা কেটেছি। আগের কেটে ফেলা গাছগুলোও রেখে দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন বলেন, উপজেলার গাছ কাটার ব্যাপারে আমার কিছুই জানা ছিল না। আমি জানার পর সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটার জন্য বলে দিয়েছি। এখানে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, গাছকাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে গাছ কাটা হবে। আগের কাটা গাছগুলোও নিলামে বিক্রি করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017-2024 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com