দখিনের খবর ডেক্স ॥ অবশেষে কারামুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা হয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সোমবার (১১ মে) রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ফিরোজায় বৈঠক করেন দলীয় মহাসচিব। দলীয় কোনো সূত্র এ বিষয়ে কথা বলতে না চাইলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, রাত ৯টায় মির্জা ফখরুল একাই গুলশানের বাসায় প্রবেশ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করার পর ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি বের হয়ে যান।
গত ২৫ মার্চ কারাবন্দি থেকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওইদিন দলের সিনিয়র নেতারা বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে গাড়িবহরসহ গুলশানের বাসায় পৌছে দেন। বিকেলে বাসায় পৌছে দেওয়ার পর সন্ধ্যায় দলের মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ফিরোজায় গেলেও তাদের কারও সঙ্গে দেখা হয়নি খালেদা জিয়ার। টানা ৪৮ দিন বাসায় থাকলেও এই সময়ের মধ্যে দলীয় কোনো নেতা সাক্ষাতের সুযোগ পাননি।
সূত্র জানায়, এই সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মামুনই শুধু বাসায় প্রবেশ করতে পেরেছেন। এর বাইরে তার বোন সেলিমা ইসলাম, ভাই শামীম ইস্কান্দার, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেম ও প্রয়াত ভাই সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী মাঝেমধ্যে বাসায় যেতেন।
জানা যায়, মুক্তির পর করোনা ভাইরাসের কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শে টানা দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন খালেদা জিয়া। এখনও চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। সূত্র জানায়, প্রায় দেড় ঘণ্টার সাক্ষাতে দলীয় কর্মকান্ড, বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি, দলের পক্ষ থেকে অসহায় নেতাকর্মী ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে চেয়ারপারসনকে অবহিত করেন মির্জা ফখরুল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি জানার পর করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিএনপি চেয়ারপারসন উদ্বেগ প্রকাশ করেন। দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যও তিনি আহ্বান জানান।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের করোনা পরিস্থিতি, চিকিৎসা, কৃষি উৎপাদন পর্যবেক্ষণসহ দলের ত্রাণ তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিএনপি ‘জাতীয় করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেল’ গঠনের বিষয়ে চেয়ারপারসনকে অবহিত করেন মহাসচিব। পাশাপাশি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রধান করে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করার বিষয়েও তাকে জানান। জানতে চাইলে চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
Leave a Reply