নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এক সময়ে নুন আনতে পানতা ফুরাতো। কোন রকম দিন এনে দিন খেতো। পরবর্তিতে স্ত্রীর কাছ থেকে পাচঁ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে ড্রেজার কিনে নেমে যায় অবৈধ্য বাভে বালু উত্তোলনের ব্যাবসায়। আর বালু উত্তলনের সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে আড়ালে চালিয়ে যান বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যাবসা। তবে বর্তমান ক্ষমতাশীল দল আওয়ামীলীগের স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতাদের সাথে সম্পর্ক থাকায় সু কৌশলে পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। বলছি বরিশাল নগরীর ৫নং ওয়ার্ড পলাশপুর এলাকার আ: গাফফার হাওলাদারের ছেলে মামুন হাওলাদারের কথা।
গতকাল এই মামুনের হাতে নিয়মিত অত্যাচারে শিকার হওয়া তার স্ত্রী একই এলাকার মৃত হোসেন সিকদারের মেয়ে মুন্নী বেগম সাংবাদিকদের সামনে কাদতে কাদতে তার অসহায়ত্য এবং মামুনের অপরাধের বিষয় এভাবেই বর্ননা দেন। মামুন হাওলাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম জানান- গত প্রায় চার বছর পূর্বে ইসলামিক শরিয়া অনুযায়ী মামুন হাওলাদারের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের ১ম বছর মোটামুটি ভালো গেলেও পরবর্তি বছর থেকে শুরু হয় মামুনের চাওয়া পাওয়া। ২০১৭ সালে ড্রেজার ব্যাবসায় নামার কথা বলে মামুন তার স্ত্রী মুন্নী বেগমের মাধম্যে তার পরিবারের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নিলেও দিবো দিবো করে নয়/ছয় বুঝিয়ে সেই টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো মুন্নী বেগমকে পাওনা টাকা চাওয়ার কারনে তার উপর শারিরিক ও মানুষিক অত্যচার শুরু করেন। এখানেই শেষ নয়, মুন্নী বেগম আরো জানান, বেশ কয়েক বছর যাবৎ মামুন আমার সাথে অশ্লিল ব্যাবহার ও অত্যাচার করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন মামুন।
মুন্নী বেগম আরো জানান- মামুন হাওলাদার এখন আর আমাকে পাত্তাই দিচ্ছেনা। সে এখন আমাকে পাত্তা না দিয়ে তার প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকে। আমি কিছুদিন পূর্বে মামুন কোথায় আছে এটা জানার জন্য তার বাড়িতে গেলে তার প্রথম স্ত্রী ও তার মেয়ে আমাকে বেধরক মারধর করেন। আমি বিষয়টি মামুনকে জানালে সে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হন। এবং আমাকে আমার সেই ধার নেওয়া পাচঁ লক্ষ ও মোহরানার পাচঁ লক্ষ টাকা কখনোই দিবেনা বলে হুমকি দেন। অভিযোগের বিষয়ে মামুন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুন্নী বেগমের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি। এমত অবস্থায় অসহায় মুন্নী বেগম তার পাশন্ড স্বামী মামুন হাওলাদারের অত্যচার থেকে বাচঁতে ও পাওনা টাকা ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply