রাজশাহী ব্যুরো ॥ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ও হাসপাতালে পৃথক দুইটি করোনা ল্যাবে একদিনে ২৫ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে রাজশাহী মহনগরীতে দুইজনসহ রাজশাহীর তিনজন, নাটোরের তিনজন ও পাবনার ১৯ জন। এদের মধ্যে পাবনার দুইজনের মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।
শুক্রবার রাতে দুইটি ল্যাবের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ দিন দুইটি ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ফলাফল এসেছে ২৫৭ নমুনার। এর মধ্যে মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৬৩ জনের ফলাফল আসে। সেখানে ২২ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। আর হাসপাতালের ল্যাবে ৯৪ নমুনার মধ্যে তিনটিতে করোনা পাওয়া যায়।
জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বর্হিবিভাগে করোনা ল্যাবে শুক্রবার ৩ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি রাজশাহীতে। তবে একজনের কর্মস্থল নাটোরে। শুক্রবার রাতে এ ল্যাবে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। নতুন আক্রান্ত রাজশাহীর তিনজনের মধ্যে দুইজন মহানগরীতে ও আরেকজনের বাড়ি তানোর উপজেলায় বলে জানান রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ সাইফুল ফেরদৌস। এরা হলেন, হাফিজুল হক (৫৮), শাহীন আলম (২৫) ও মকলেসুর রহমান (৪৫)।
আক্রান্তদের মধ্যে মকলেসুর রহমান (৪৫) নাটোর ইসলামী ব্যাংক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। তার বাড়ি নগরীর বনলতা আবাসিক এলাকায়। ৫৮ বছর বয়স্ক হাফিজুল হকের বাড়ি মহানগরীর রানিনগর হাদিরমোড় এলাকায়। তিনি ঢাকার একটি ক্লিনিকে কাজ করতেন। আর রাজমিন্ত্রীর কাজ করা ২৫ বছর বয়স্ক শাহিন আলমের বাড়ি তানোর উপজেলা কোয়েলহাট এলাকায়। তিনি গত ১৭ মে টেকনাফ থেকে রাজশাহীতে ফেরেন। টেকনাফ থেকে তার সাথে রাজশাহীতে ফেরা অপর এক সহকর্মী করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন শাহিন।
এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে শুক্রবার ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে নাটোরের তিনজন। যার মধ্যে ২ জন বড়াইগ্রাম উপজেলায় এবং অপরজন শহরের দক্ষিন পটুয়াপাড়া এলাকার। বড়াইগ্রামের আক্রান্ত একজনের বয় ৩২ এবং অপরজনের ২৫। শহরের আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৫০ বছর। গত ২ জুন তারা নমুনা দিয়েছিলেন।
এদিকে পাবনায় আরও ১৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর তাদের নমুনায় করোনা পজেটিভ এসেছে। শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয় বলে জানান পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবাল।
তিনি বলেন, নতুন যে ১৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে পাবনা সদরের ৯ জন, সুজানগরে ৫ জন, আটঘরিয়ায় ২ জন ও ঈশ্বরদীতে ৩ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত মোট ৭২ জন। এর মধ্যে সুজানগর পলি ও আটঘরিয়ায় মারুফ নামে দুইজন মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর তাদের নমুনায় সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাদের নমুনা করোনা পজেটিভ এসেছে। এছাড়াও সুস্থ হয়ে স্বাভবিক জীবনে ফিরেছেন ৮ জন।
নতুন আক্রান্তরা হলেন, পাবনা সদরের শাহানা (৫০), রবীন্দ্রনাথ (৫৫), রাকেশ কুমার (৩২), মুস্তারী আক্তার (২৮), অজয় রায় (৫৮), নাজিম উদ্দীন (৫০), কামরুজ্জামান (৪৩), আশিক (২৭), মন্টু (২৯)।
অপরদিকে, সুজানগরের নতুন আক্রান্তরা হলেন, দুলাল শিকদার (৩৫), আলমগীর হোসেন (৪৮), সাইদুল আলম (৫০), রফিকুল ইসলাম (৪৫), পলি (২২)। এদের মধ্যে পলি মারা গেছেন।
এছাড়াও আটঘরিয়ার রেজাউল (৪৫) ও মারুফ (৩৮) এবং ঈশ্বরদীর বদিউল আলম (৬১), রাকিব হোসেন (১৯) ও মাজহারুলের (২৮) শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আটঘরিয়ার মারুফ মারা গেছেন।
Leave a Reply