পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীতে পৈতৃক ভিটায় ঘড় তুলতে বাধা, বিচারের আসায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলার ইট বাড়ীয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ঘোপ খালী গ্রামে গত ৩ এপ্রিল তার নিজ পৈতৃক ভিটায় এ ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী ও একাধিক এলাকাবাসী জানায়। সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে মৃত্যু নিবনাস খা এর ৮ ছেলে মেয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর ৬ নাম্বার, জীবিকার তাগিদে ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করে আসছে। বর্তমানে বাড়ীতে এসে ঘর তুলে পরিবার নিয়া বসবাস করার উদ্যোগ নেয়।কিন্তু পুরাতন বাড়ীতে জায়গা নাহওয়া পৈতৃক জমিতে নতুন বাড়ী করার কাজ শুরু করে এবং একটি টিনের ঘড় তৈরি করে। কিন্তু গত ৩ এপ্রিল বিকাল আনুমানিক ৪ঃ৩০ মি. এর সময় একই জমির ক্রয়কৃত অন্য মালিক গণ একই এলাকার প্রতিবেশী মৃত্যু মেনাজ সিকদারের ছেলে মন্নান সিকদার ও বেল্লাল সিকদার,মৃত্যু গনি হাওলাদার এর ছেলে আজগর আলী, আজগর আলীর ছেলে সোহাগ ও শামিম,এবং গনি হাওলাদার এর ছেলে আলী আহমেদ সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন এসে ঐ জমিতে ঘড় তুলতে বাধা দেয় এবং জাহাঙ্গীরের ঘড় কুপিয়ে এবং জাহাঙ্গীরকে ধাওয়া করে এলাকা ছারা করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয় । এ সময় জাহাঙ্গীর প্রান ভয়ে পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়, এ ঘটনা স্থানীয় ইউ পি সদস্য কালাম মাঝিকে অবহিত করেন, অভিযোগ পেয়ে কালাম মাঝি ঘটনা স্থলে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানান। যেহেতু বর্তমানে দেশে মহামারী ভাইরাস করোনা চলমান সেক্ষেত্রে করোনা পরবর্তী সময়ে শালিশ মিমাংসা করবেন বলে এ প্রতিবেদককে আশ্বাস দেন। এদিকে প্রতিপক্ষের হুমকিতে পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে জাহাঙ্গীর, এলাকার একাধিক সাধারণ মানুষ বলছে ঐ জমির মূল মালিক জাহাঙ্গীরের পিতা এবং ওয়ারিশ সুত্রে ঐ জমির মালিক জাহাঙ্গীর। ঘোপখালী মৌজাধীন জে এল নং ১১, খতিয়ান নং ৪৭,দাগ নং ২২ এ মোট জমির পরিমান ১.৭১ শতাংশ, এর মধ্যে জাহাঙ্গীরের জমি রয়েছে ০.১৭ শতাংশ। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীরের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে, জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার সহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যাক্তিদের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার সহ ঘড় তোলার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান এবং প্রতিপক্ষের অযৌক্তিক হয়রানির বিচার দাবী করেন।
Leave a Reply