বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
মহিলা দলের ৪৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে বরিশাল মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত করেন এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ছয় বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় হাজারো জনতার ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত সান্টু  বাকেরগঞ্জের সাংবাদিক হাবিবের উপরেহামলাকারী মামলার এজাহারভুক্ত আসামি , শফিকুল ইসলাম রিপন শ্রী ঘরে , গৌরনদীতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির সমাবেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে গৌরনদীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মেয়ের অসুস্থতার খবরে একদিন আগেই দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী মেসির ১, আর্জেন্টিনার ২ : কোপার ফাইনালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ফ্রান্সকে বিদায় করে ইউরোর ফাইনালে স্পেন নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ২৯
ছোট কাঁধে বড় দায়িত্ব ১০ বছরে ইমনের

ছোট কাঁধে বড় দায়িত্ব ১০ বছরে ইমনের

তালতলী প্রতিবেদক ॥ (১২ জুন) বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবস, বরগুনার তালতলী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দেখা মিলে অনেক শিশু অটোগাড়ি চালক। নতুন করে দেখা মিলে ১০ বছর বয়সী এক অটোরিক্সা চালকের। নাম তার ইমন, কথা হয় ইমনের সাথে, তার বাবা অসুস্থ হয়ে বিছানায়। তাই সংসারের হাল ইমনেরই ধরতে হয়। করোনা ভাইরাসের কারনে স্কুল বর্তমানে বন্ধ। তাই গাড়ি চালিয়ে যে টাকা পাই, তা দিয়েই কোনরকম খেয়ে দিন কাটে তার পরিবারের ।
শিশু বয়সেই বড় দায়িত্ব ইমনের কাঁধে। যে সময়টায় সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে-খেলাধুলায় কাটানোর কথা, সে বয়সেই পরিশ্রম করতে হচ্ছে। প্রতিদিন রোজগারের চিন্তায় গাড়ি নিয়ে পথে পথে ঘুরতে হচ্ছে। উপজেলার ঠংপাড়া এলাকার নসু মৃধার বাড়ির পাশেই ছোট্ট ঘরে বাবা-মা কলেজ পরুয়া মেঝ বোন এবং তিন বছরের ছোট ভাইকে নিয়ে বসবাস করেন ইমন । বর্তমানে ছাতন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইমন রোল নং (১৫)। ইমন জানায়, তাদের পুরাতন বাড়ি বরগুনা জেলার পরীর খাল এলাকায়। মেঝবোন সাথী ও ইমনের লেখাপড়ার জন্য বাবার এখানে থাকা। সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী বাবাই ছিল, কিন্তু বাবা কিছু দিন আগে অসুস্থ হলে, মায়ের পক্ষে কাজ করে তিনবেলা খাওয়া, পড়াশুনার খরচ চালানো সম্ভব না। তাই বসে না থেকে বাবার গাড়ি নিয়ে উপার্জনে নেমেছে। পড়াশুনা করে কোনো একটা চাকরি করা সম্ভব, তাই শত কষ্ট হলেও স্কুল খুলে দিলে লেখা পড়া চালিয়ে যাবে।
ইমন আরও জানায়, সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ইনকাম হয়। টাকা মায়ের কাছে তুলে দেই সে টাকা দিয়ে তেল-নুন, চাল-ডাল কেনা হয়। লোডশেডিং হলে গাড়ি চালাতে না পারলে কখনো আবার সবাইকে না খেয়েও কাটাতে হয়। ইমন আরও জানায়, গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই অনেক যাত্রী ও পথচারীদের দুর্ব্যবহার ও শিকার হতে হয়। আবার অনেকে আদর ও করে ভালো ব্যবহার করে। কোমলমতি এই শিশুটি তার পরিবার সহ বেঁচে থাকার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তার নিজের জীবন নিয়ে ভাবনা আছে, দায়িত্ব আছে তার পরিবারের , তাই তো তাকে রোজগারের জন্য ছুটতে হয়। সংসারের টানাপোড়নে তার এই স্বপ্ন হারিয়ে যাবে নাতো? ইমনের লেখাপড়া যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেই জন্য সমাজের নজর রাখা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com