চেয়ারম্যানরা খুন করলে কিছু হয়না, চাল চুরি করলে কি হইবে বরিশাল বিভাগে করোনাভাইরাস নির্ণয় ও চিকিৎসা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) ও দক্ষিণাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষকদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে করোনা প্রতিরোধক ডিভাইস (কীট)। আর এ ডিভাইসের নামকরণ করা হয়েছে কোভিড কীট (ঈঙঠওক শরঃ= ঈড়ৎড়হধ ঠরৎড়ঁং করষষরহম করঃ)। ডিভাইসটির আবিস্কারক শেবামেক এর নিউরোমেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. এইচ.এম মাসুম বিল্লাহ এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রেহানা পারভী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানাগেছে, ‘ডা. এইচ.এম মাসুম বিল্লাহ এবং ড. রেহানা পারভীনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে করোনা প্রতিরোধ কীট। যা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগ থেকে এরই মধ্যে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুই আবিস্কারক। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিলের (বিএমআরসি) চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
এ প্রসঙ্গে ডিভাসটির আবিস্কারক টিমের অন্যতম উদ্ভাবক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রেহানা পারভীন বিএসএল নিউজকে বলেন, ‘মূলত মানুষের নি.শ্বাস এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস বাতাসে ছড়ায়। যা পরবর্তীতে সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এই কীটের মাধ্যমে আক্রান্ত মানুষের নি.শ্বাস থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড পুরোপুরি করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে পরিবেশে যাবে। তাছাড়া এই ডিভাইসের সুবিধা হচ্ছে এটি ব্যবহারের ফলে তার দ্বারা অন্য কেউ সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধক কীট তৈরি প্রজেক্টের প্রধান পরিদর্শক (পিআই) ডা. এইচ.এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘ডিভাইস তৈরির কাজ এরি মধ্যে শেষ হয়েছে। বিএমআরসি’র অনুমোদন পেলেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। বর্তমানে দাপ্তরিক কিছু জটিলতা ও সীমাবদ্ধতার কারণে অনুমোদন পেতে দেরি হচ্ছে। তবে আশা করছি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে খুব শ্রীঘই বিএমআরসি ডিভাইসটির অনুমোদন দিবে। এ প্রসঙ্গে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীত ভূষণ দাস বিএসএল নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি অতিগুরুত্বপূর্ণ। তাই এ নিয়ে আমরা সার্বক্ষনিকভাবে যোগাযোগ রাখছি। পাশাপাশি বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। তারাও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। জানতে চাইলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমি বিষয়টি সম্পর্কে নিয়োমিত খোঁজ খবর নিচ্ছি। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে বর্তশান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।
Leave a Reply