পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির সেহাঙ্গলের সর্বত্র কালো মেয়েদের ছায়া পড়েছে অলিগলিতে। শান্তির পরিবর্তে অশান্তির কালো মেঘের ছায়া পড়েছে সন্ত্রাসের রাম রাজত্বের কারণে। বেশ কিছু দিন শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত হলেও সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মাদক সহ সমগ্র এলাকায় শান্তি প্রিয় জনতা রয়েছে মহা বিপাকে। মাদকের কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত সমগ্র সেহাঙ্গল সহ পুরো সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের অলিগলি। স্থানীয় সূত্র মতে, স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান নব্য আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতা মুকুল। সাবেক বি এন পির ক্যাডার সেহাঙ্গলের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ নুরুজ্জামান মুকুলের( ৫২) বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। আর সেই সূত্র ধরেই স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক সংবাদ প্রকাশ করে বহু অপকর্মের খল নায়ক মুকুল বাহিনীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে সেহাঙ্গল এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সর্বত্র। গত মাসের শেষ শুক্রবার ৩১ মে রাত্র ১০ ঘটিকার সময়ে মারামারির ঘটনার নেপথ্যে মাদকের অলিখিত গড ফাদার মুকুলের ছত্র ছায়ায় সেহাঙ্গলের ফেরদৌস, কাইউম, ইমরান, ইকরাম, ছোট ফেরদৌস, শাকিল, রানা, মাইনুল ও ওবায়দুল বাহিনী দিয়ে সেলিমের ছেলে দীপ্ত সহ আফসার উদ্দিনের ছেলে সানোয়ার(৪৭) সোহেল মেম্বরের স্ত্রী মুক্তা বেগম(২০) কে মারধর সহ নারী নির্যাতন করে এ সন্ত্রাসী বাহিনী। নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন জেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, চলতি সময়ে সেহাঙ্গল এলাকায় মাদকের ও ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেহাঙ্গলের অলিখিত মাদকের গড ফাদার মোঃ মুকুলের ইন্দনে ফেরদৌস বাহিনীরাা রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে। সানোয়ার, দীপ্ত ও সজিব সিকদারকে রক্তাক্ত করে।
এদিকে সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা নেছারাবাদের সমুদয়কাঠীর সেহাঙ্গল বাজার এলাকায় যান আসল ঘটনার চিত্র তুলে ধরার নিমিত্তে। কেহ সরাসরি মুখ খুলে কথা না বললেও আকার ইঙ্গিতে সন্ত্রাসের গড ফাদার ও মাদকের ডন হিসাবে মুকুলের নাম বলেন। তবে ভিন্ন কথা বললেন বহ বয়েজষ্ঠরা। তারা মুকুলের বিষয়ে বিগত সময়ে সকল অপকর্মের ঘটনায় সাক্ষী ছিলেন । শুধু প্রাণের ভয়ে মুখ খুলতো না এলাকার নিরিহলোকজন। অথচ আজ সময় এসেছে তাই বহু অপকর্মের কথা নির্ভয়ে বললেন একের পর এক। এ ব্যাপারে স্থানীয় সূত্র জানায়, মকুলের আপন চাচাতো ভাই মোঃ লুৎফর রহমান বিগত সময়ে মাদক নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরে পরিদর্শক িিহসেবে চাকরি করতেন। তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সময়ে ঘুুুষ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে বরখাস্ত হয়। ঢাকা জেলার তথ্য মতে, খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় বাড়ি সহ বাড্ডা নূরের চালা এলাকায় একবিঘা সম্পতির মালিক। এছাড়াও চট্টগ্রামে গাড়ির ব্যাবসার সাথে জড়িত। এদিকে মুুুকুলের উথ্যানের অন্যতম কারণ চাচাতো ভাইর অবৈধ টাকা। অথচ লুৎফরের চাকুরির আগের জীবন িিছলো অভাব অনটনে ভরা।
সুশীল সমাজের লোকজন জানান, মুকুলের উথ্যানের আরও একটি কারণ মুকুলের আপন চাচাতো ভগ্নিপতি সাবেক বন বিভাগের প্রধান সংরক্ষক মোঃ আনোয়ার মুনসীর অবৈধ টাকা। অথচ গত ০১/১১/২০১১ সালে কঠিন দূর্ণীতির কারণে চাকুরী চূত্ত হয়। সেই সময়ে বালিশের কবারে ছিল লক্ষ লক্ষ টাকার পাহাড়। সেই অবৈধ টাকার বদৌলতে মুকুল মাদক সহ সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে সেহাঙ্গল এলাকায়। অপর দিকে রাজউকের উপ স্থাপিত মোঃ মোস্তাক আহমেদের অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের অন্যতম আপন ভাগিনার কারণে আলাদীনের চেরাগ পায় মুকুল। আর সেই সুবাদে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে সমুদয়কাঠীর জন্য হয়ে মহা আতঙ্কে আতঙ্কিত গড ফাদার মুকুলের রাম রাজত্ব। পাশাপাশি কাউখালীর তালিকা ভুক্ত রাজাকার মুকুলের আপন চাচাতো মামার বিশাল অর্থ বিত্তের কারণে বিগত সময়ে বি এন পির অলিখিত গড ফাদার রূপে সুনাম অর্জন করেছেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উপায়ে অর্থের যোগানের কারণে এলাকায় ধরাকে সরাজ্ঞান করে তোলে মুকুল ও তার বাহিনী।
এদিকে জনমত জরিপে আরও জানাযায় বিগত বিএনপির সময়ে মুকুল বাহিনী এক চেটিয়া রাম রাজত্ব কায়েম করে কঠিন লাইম লাইটে আসেন। পরবর্তী সময়ে সাবেক এম পি এ কে আউয়ালের হাত ধরে রাজনৈতিক দলের মুখোশ পরিবর্তন করে নব্য আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতা হিসাবে নিজেকে জাহির করে আবারও অপকর্মের জাল বিছাতে শুরু করে। ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার বহ ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনও মুকুলের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন সঠিক তথ্য দিয়ে। ১৯৮৪ সাল থেকেই মুকুলের অপরাধ জগতের হাতেখড়ি। এপর্যন্ত মুকুলের বিরুদ্ধে নেছারাবাদ থানায় বহ মামলা সহ পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি থানায়ও মামলা ছিলো। এমন কি কাউখালী থানায়ও ফৌজধারী মামলাও ছিলো। এদিকে মুকুলের বিরুদ্ধে প্রায় দশটি জিডিও রয়েছে এলাকার অলিখিত সন্ত্রাসের গড ফাদারের বিরুদ্ধে। অবশ্য দল পরিবর্তন করার সাথে সাথে সকল মামলা আপাতত অতল গহবরের হারিয়ে যায়। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুকুলের ইন্দনে ফেরদৌস বাহিনীর হাতে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন মাদকের কাছে জিম্মি। যদিও বহুরাব মাদকের বিরুদ্ধে প্রিন্ট মিডিয়া সহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিউজ হয়। হাত বাড়ালেই মাদক শিরোনামে বহ নিউজ হয়। মিডিয়ার সামনে আঃ কুদ্দুস বলেন, আমাদের এলাকায় হাত বাড়ালেই কিশোর কিশোরীদের হাতে মরণ নেশা ইয়াবা। আর এর নেপথ্যে সেহাঙ্গলের ফজলুর ছেলে মুকুলের ইয়ারা সহ পুঁজির যোগান দাতা। এ ব্যাপারে এলাকার সুশীল সমাজের বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, মুকুল বাহিনী প্রধান অলিখিত গড ফাদার মুকুলের মামা রাজউকের উপ স্থাপিতর বিশেষ সুবিধা নিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করে সমুদয়কাঠীর মধ্যে সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। পাশাপাশি মুকুলের ছত্র ছায়ায় ফেরদৌস বাহিনীর লোকজন বীর দর্পে ইয়াবার বাজার তেরী সহ অপরাধ জগতের স্বর্গ রাজ্য তৈরি করে যাচ্ছে বীরদর্পে। সর্বশেষ তথ্য মতে মারামারির ঘটনা নিয়ে নেছারাবাদ থানায় মামলা হয়। মামলা নম্বর ০৭ আর তারিখ ৩০/০৫/২০২০ ইংরেজি। মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ফেরদৌস সহ কাইউম গংরা। মামলার বাদী মোঃ সেলিমুজ্জাম। অথচ মামলার আসামিরা এলাকায় বীর দর্পে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন গ্রেফতার না করার কারণে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ওসি মোঃ তরিকুলইসলাম মামলার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা সরকারি অস্বীকার করেন। বরং প্রশাসনের সাড়াশি অভিযানে মিজান ও রোকসানাকে গ্রেফতার হয়েছিলো কিন্তু। অবশ্য আমাদের অভিযান চলছে আসামি গ্রেফতার হওয়ার জন্য।
Leave a Reply