পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ “জোর যার মুল্লুক তার ” আর এই নীতি নিয়ে বৈধ ভাবে ওয়ারিশের সম্পত্তি বিক্রি করা সম্পত্তির উপর বেআইনি ভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে প্রয়াত কাজী মোজাহারুল ইসলামের ছেলে কাজী সাইফুল ইসলাম রিপন কাজীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত ১৯১৯ সালে জমি ক্রয় করে প্রয়াত কাজী মোজাহারুল ইসলামের ছেলে প্রয়াত কাজী নজরুল ইসলামের ওয়ারিশ গংদের কাছ থেকে। জমি ক্রয় করেন আঃ রহমান সিকদারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম সজল, মোঃ সুজন সিকদার, মোঃ সুমন সিকদার ও মৃত আঃ মান্নানের ছেলে মোঃ এনামুল হক রানা। অবশ্য প্রয়াত মোজাহার কাজীর দুই পরিবারের ছেলে মেয়েরা রয়েছে। প্রথম পক্ষের পরিবারের ওয়ারিশ থেকে বৈধ ভাবে জমি খরিদ করে আঃ রহমান সিকদারের ছেলেরা । অবশ্য প্রথম সংসারের প্রয়াত কাজীর নজরুল ইসলামের ওয়ারিশের কাছ থেকে ১ একর ১১ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেন আঃ রহমান সিকদারের ছেলেরা। যদিও ওয়ারিশ সূত্রে দাবী করলেও আইনগত ভাবে ক্রয়কৃত জমির মালিক রহমান সিকদার গংরা। অথচ প্রয়াত কাজী মোজাহারুল ইসলামের দ্বিতীয় পক্ষের ওয়ারিশ গংরা গায়ের জোরে বিক্রি করা সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ভোগ দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। আর একারনে বৈধ অধিকার ও দখলের সার্থে মোঃ রহমান সিকদারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম সজল সিকদার ও এনামুল হক রানা বাদী হয়ে গত ২৩/০৬/২০১৯ ইং তারিখে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ পেশ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রয়কৃত জমির ভোগ দখলেরজন্য বৈধ অধিকারের নিশ্চয়তা চান। এদিকে স্থানীয় সূত্র নেছারাবাদ উপজেলার মধ্যে মৌজা পশ্চিম সারেংকাঠী,জে এল নং ৮২। বি এস খতিয়ান নং ৩৭৮, ৩৮১, ৩২৩, ৩৭৬, ৩৭৯। বি এস দাগ নং ২৪০৯,২৪১০,২৪১১, ২৪৬৫, ৯৮৮, ৬৫৮ ও ৩০১৬। মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১.১১ একর। অভিযোগের বিবরনীর তথ্য মতে সারেংকাঠী মৌজায় ২৪০৯, ২৪১০, ২৪১১ দাগের চৌহদ্দি উত্তরে সরকারি রাস্তা, দক্ষিণে কাজী সাইফুল ইসলাম রিপন গং, পূর্বে কাজী সাইফুল ইসলাম গং, পশ্চিমে কাজী সাইফুল ইসলাম গং। জমির পরিমাণ ৩৫ শতাংশ । এদিকে ২৪৬৫ দাগেও চৌহদ্দি রয়েছে। উত্তরে ছালাম গং, দক্ষিণে চান মিয়া বেপারী, পূর্বে রেকর্ডীয় খাল আর পশ্চিমে আঃ ছত্তার হাওলাদার গংরা। জমির পরিমাণ ৩৪ শতাংশ। এদিকে ৯৮৮দাগের চৌহদ্দি রয়েছে। দক্ষিণে নূর হোসেন মৃধা, উত্তরে সরকারি রাস্তা, পূর্বে চান মিয়া হাং আর পশ্চিমে সপ্তগ্রাম সন্মলনি মহিলা মাদ্রাসা। সম্পত্তির পরিমাণ ০৭ শতাংশ। অবশ্য ৬৫৮ দাগের চৌহদ্দি হল উত্তরে সোহেল শিকদার, দক্ষিণে কাজী সাইফুল ইসলাম রিপন গংরা, পূর্বে সাইফুল হাওলাদার, পশ্চিমে সামসুল হক কাজী। সম্পত্তির পরিমাণ ২৯ শতাংশ আর ৩০১৬ দাগের চৌহদ্দি রয়েছে। উত্তরে রিপন গংরা, দক্ষিণে ভেড়িরাস্তা, পূর্বে কাজী সাইফুল ইসলাম রিপন গংরা, পশ্চিমে আঃ রব কাজী। সম্পত্তির পরিমাণ ০৬ শতাংশ। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি প্রয়াত কাজী মোজাহারুল ইসলামের দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানদের কাছে। অবশ্য মূল ভিলেন হিসাবে অবৈধ ভাবে রাম রাজত্ব কায়েম করে হুমকি ধুমকি দিয়ে আসছে কাজী সাইফুল ইসলাম রিপন ও আপন ভ্রাতাগণরা। আমাদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি প্রতি নিয়ত। আইনের আশ্রয়ও নিয়ে শান্তিতে নেই। আমাদের বৈধ সম্পত্তির উপর কাচা ঘর নির্মাণ করেও শান্তিতে নেই। হুমকি দুমকি সহ নানান কায়দায় হয়রানির শিকার হচ্ছি কাজী সাইফুল ইসলাম রিপন গংদের কাছ থেকে।এদিকে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমরা এলাকার নিরীহ জনতা। আমাদের দেখা মতে বর্তমানে বৈধ ভাবে ১ একর ১১ শতাংশ ক্রয়কৃত জমির প্রকৃত আঃ রহমান ও তার ছেলেরা। নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয়রা আরও বলেন, গায়ের জোরে কাজী রিপন গংরা অবৈধ ভাবে সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ভোগ দখলের পায়তারা করছে। অবশ্য ভিন্ন কথা বললেন এলাকার সুশীল সমাজের বেশ কিছু লোকজন। তাদের ভাষ্য মতে বৈধ সম্পত্তির উপর নির্মাণ কর ঘর ভেঙে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এমনকি ঘর না সরালে হত্যারও হুমকি দেয়।
সরেজমিনে জেলার ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীরা সারেংকাঠী এলাকায় যান আসল রহস্য উদঘাটন করার নিমিত্তে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তাদের দাবী, আমাদের ও আমাদের বাবার ক্রয়কৃত জমির বৈধ অধিকারে বাধা প্রধান কারী ভূমিখোর কাজী সাইফুল ইসলাম রিপনের বিচার দাবী করি। অবশ্য এলাকার বেশীরভাগ লোকজনও ভূমিখোর কাজী রিপনের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চায়। এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার সাথে কথা গণ মাধ্যম কর্মীদের। মিডিয়ার প্রশ্নে আইনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এলাকার স্বার্থে সুন্দর সমাধানের লক্ষে আমরা উভয়কেই একত্রিত করে সুন্দর সমাধানের পথ তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। অবশ্য এলাকার গণ্য মাণ্য বিচারক গনরা উপস্থিত থেকে সমাধানের চেষ্টা করতে বদ্ধ পরিকর বলে জানান । যদিও সর্বশেষ তথ্য মতে আঃ রহমানের গংরা এর আগেও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আবেদন করেন রিপন কাজীর বিরুদ্ধে। অবশ্যঐ সময়ে বারং বার নোটিশ করলেও বেয়াদব খ্যাত কাজী সাইফুল ইসলাম রিপন গংরা আইনকে বৃদ্বাআঙ্গুলী দেখিয়ে চরম দাম্ভিকতা দেখায়।
Leave a Reply