ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ অমৃত বানু (৭০)। বয়সের ছাপ তাঁর চোখেমুখে। এ বয়সে তাঁর নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু অসহায় এ নারী স্বামী মারা যাওয়ার পর ৩০ বছর ছিলেন অন্যের বাড়িতে আশ্রিত। গৃহকর্মীর কাজ করে কখনো তিন বেলা খেয়েছেন, আবার না খেয়েও সংগ্রাম করেছেন জীবনযুদ্ধে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাস-া ইউনিয়নের জয়সী গ্রামের সেই অমৃত বানুকে একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা। ঈদে খরচ কমিয়ে তিনি এ বৃদ্ধার ঘর তুলে দেন। মেয়ে ও দুই নাতি নিয়ে ওই ঘরে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। যুবলীগ নেতা ছবির হোসেনের মহতী উদ্যোগের কারণে শেষ জীবনে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেন এ বৃদ্ধা।
জানা যায়, অমৃত বানুর স্বজনদের কাছে তাঁর কষ্টের কথা শুনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ঝালকাঠি পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছবির হোসেন। এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের খরচ বাঁচিয়ে তিনি অমৃত বানুকে তিন কক্ষের একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেন। বুধবার সকালে অমৃত বানুর কাছে ঘরের চাবি তুলে দেন ছবির হোসেন। এ সময় আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন অমৃত বানু। প্রাণ খুলে দোয়া করেন ছবির হোসেনের জন্য। ছবির হোসেনের এমন মানবিক কাজের প্রশংসা করেছেন অনেকে।
বৃদ্ধা অমৃত বানু বলেন, মানুষের ঘরে কাজ করে সংসার চালাই। আমার সাধ্য ছিল না নিজের টাকা দিয়ে ঘর তোলার। যুবলীগ নেতা ছবির হোসেনের সহযোগিতার কারণে আমি আমার নিজের একটি ঘর হয়েছে। আমি ছবির হোসেন ও তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া করছি। এখন বাড়ির রাস্তাটা দরকার। মরার আগে যেন শান্তিতে এই ঘরে থাকতে পারি। ঝালকাঠি পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছবির হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর ঈদের খরচ কমিয়েছি। বাড়তি খরচ না করে সেই টাকা দিয়ে বৃদ্ধা অমৃত বানুর জন্য একটি ঘর তুলে দিয়েছি। এতে আমি অনেক তৃপ্তি পাচ্ছি। মানুষ মানুষের জন্য। আমাদের সবার উচিত মানুষের কল্যাণে কাজ করা।
Leave a Reply