স্টাফ রিপোর্টার ॥ “বিনা পরীক্ষায়, বিনা অক্সিজেনে, বিনা চিকিৎসায় কোন মৃত্যু আমরা চাইনা” শ্লোগানকে সামনে রেখে বরিশালে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষায় দীর্ঘ সময় নেয়া, হয়রানি বন্ধ, পিসিআর ল্যাব বাড়িয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার পরীক্ষা, করোনা রোগি পরিবহনের জন্য বিশেষ এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালুসহ আটদফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বৃস্পতিবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) জেলা কমিটির আয়োজনে নগরীর জনবহুল সদররোডে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনসহ জরুরি ভিত্তিতে দাবি বাস্তবায়নে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সড়ক অবরোধ চলাকালীন সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বাসদের জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী তার বক্তব্যে প্রশাসনের সকল দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আজকের এই সড়ক অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে বরিশালবাসীর দাবীগুলো দ্রুত পুরন করা না হলে আগামিতে হরতাল পালনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জেলা বাসদের আহবায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবীব রুমনের সভাপতিত্বে অবরোধ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জাসদের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক মুন্না, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সম্পাদক অধ্যাপক দুলাল মজুমদার, বাসদের শ্রমিক ফ্রন্টের নেতা শহিদুল ইসলাম, জোহরা রেখা, শ্রমিক নেতা নুরুল হক প্রমুখ।
ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী তার বক্তব্যে আরও বলেন, দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে করোনা চিকিৎসায় বরিশাল রয়েছে সর্বনিন্মস্থানে। ঢাকায় করোনা পরীক্ষার জন্য ল্যাব রয়েছে ৩৮টি, চট্টগ্রামে নয়টি, সদ্যজাত বিভাগ রংপুর ও ময়মনসিংহে দুইটি। অথচ বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার কোটি মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাব রয়েছে মাত্র একটি। সেখানেও রয়েছে নানা সমস্যা।
মনিষা চক্রবর্তী করোনাকালের সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসক, পুলিশ ও সংবাদকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং আর্থিক প্রনোদনা দেয়ার জন্য জোর দাবি করেন। সড়ক অবরোধ ও সমাবেশ শেষে নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
Leave a Reply