সোমবার, ২২ Jul ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সশস্ত্র সংঘাতে তিনজন রক্তাক্ত জখম

পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সশস্ত্র সংঘাতে তিনজন রক্তাক্ত জখম

কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র হামলা পাল্টা হামলা ছুরিকাঘাতের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। কলাপাড়ার ধানখালী কলেজ বাজারে মঙ্গলবার দুপুরের এ ঘটনায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই ঘটনায় ইউনিয়ন ধানখালী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি বাইতুল ইসলাম দোলন (২৮), ছাত্রলীগ নেতা আশিক মামুদ হীরা (২৪) ও ছাত্রলীগ কর্মী শিমুল গাজী (২১) কে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত দোলন জানায়, রবিবার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাঁচ জুনিয়া যুব ও ছাত্র কল্যাান সংসদে হামলা চালায় চম্পাপুর এলাকার তানিম মোল্লা, আলমগীর মোল্লা, তন্ময় তালুকদার, কাওসার, রিয়াদ, লিমন ও নিপু তালুকদার। এ ঘটনা নিয়ে তারা বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। স্ট্যাটাসে একই এলাকার আমির মৃধা ও মামুন মৃধা কমেন্টস করেন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কমেন্টস আদান প্রদান হয়। মঙ্গলবার দুপরে দোলনসহ তার দুই সহযোগী হীরা ও শিমুল গাজী কলেজ বাজার এলাকায় পৌছলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় আমির মৃধা, জয়নাল মৃধা ও মামুন মৃধাসহ প্রায় ১০/১২ জন। এসময় হীরার পেটে ছুড়িকাঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। তবে অভিযুক্ত জয়নাল মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওরা কলেজ বাজার এলাকায় এসে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তাই এ ঘটনা ঘটেছে। কলাপাড়া হাসাপাতালের চিকিৎসক ডা. অনুপ জানান, আহতদের মাথায় পেটে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। কলাপাড়া থানার (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে এঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে পাখিমারায় অবৈধ গরুর হাটের টোল কালেকশন নিয়ে কলাপাড়া পৌর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সশস্ত্র মুখোমুখি হলে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেয়। বর্তমানে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড না থাকলে হাঁট-বাজার, খেয়াঘাটের ইজারা, বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, জমিজমার সালিশ বাণিজ্য, দখল কাজে অংশ নেয়া নিয়ে নব্য হাইব্রিড গ্রুপ গুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এদের কারণে গ্রামীণ জনপদ তপ্ত হয়ে আছে। এমনকি বালুর ব্যবসার ব্যক্তিগত ছোট্ট ঘর কিংবা ক্লাবঘরে, আড্ডাস্থলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি পর্যন্ত এরা টানিয়ে তা ভেঙ্গে ফেলার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com