দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ঝালকাঠি ডিবি পুলিশের সাজানো মামলায় সাংবাদিক আসিফ মানিককে ফাঁসাতে গিয়ে ডিবির দারোগা মফিজুল নিজেই ফেঁসে গেলেন। পুলিশের আইজিপির নির্দেশে তদন্তে অবশেষে সাংবাদিক আসিফ মানিক নির্দোষ প্রমাণিত হলেন। এ ঘটনায় ঝালকাঠির ডিবি পুলিশের দারোগা মফিজের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বিভাগীয় মামলা রুজু করেছেন। মামলা নং ৩ তাং ১৫/৫/২০২০। সাংবাদিক আসিফ মানিকের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে জানা গেছে, পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন তিনি। এছাড়া মিথ্যা মামলা করায় মামলার বাদীকে আসামী করেছে পুলিশ। আসিফ মানিক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এ বিজয় দেশের সকল সাংবাদিকের।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর এক বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকরা পুলিশের শক্র নয়। এই ধরনের হীন কর্মকা- পরিহার করে দেশের স্বার্থে সাংবাদিক-পুলিশ এক হয়ে কাজ করার আহবান জানানো হয়।
গত বছরের ১৭ জুলাই ঝালকাঠি শহরের ব্র্যাকমোড় এলাকা থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হলে সাংবাদিক আসিফ মানিককে মোটরসাইকেলসহ দারোগা মফিজ আটক করে। এ সময় পার্শ্ববর্তী দোকানের সামনে থেকে পরিত্যাক্ত দুপিস ইয়াবা উদ্বার নাটক সাজান মফিজ। এ ঘটনায় সাংবাদিক আসিফ মানিক ও মনির নামে আরেকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের আইজিপি বরাবরে আবেদন পাঠান সাংবাদিক অসিফ মানিক। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশের উর্ধ্বতন একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাজানো ঘটনার প্রমাণ পায়। আসিফ মানিক দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের একমাত্র সন্তান তিনি। সরকারের পক্ষ থেকে শহরের আমতলা রোডে দেওয়া একটি সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে তাকে হয়রানি ও হেনস্থা করে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। ঝালকাঠি পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন যোগদানের পর থেকে ঝালকাঠিকে মাদক, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ ও সন্ত্রাসের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
Leave a Reply