শুক্রবার, ২৬ Jul ২০২৪, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
বর্ষায় ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা মেরামত কারিগরদের

বর্ষায় ব্যস্ততা বেড়েছে ছাতা মেরামত কারিগরদের

বাউফল প্রতিনিধি ॥ পঞ্জিকার পাতা অনুযায়ী এখন বর্ষাকাল। আর বর্ষাকালে প্রকৃতির মূল উপাদান হচ্ছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘরের বাইরে চলাচলের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ছাতা। যদিও এখন রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা চলছে। বর্ষা মৌসুম এলেই বেড়ে যায় ছাতার কদর। সবার পক্ষে নতুন ছাতা কেনা সম্ভাব হয় না। তাই অনেকেই পুরাতন ছাতা মেরামত করার জন্য ছুটে যায় ছাতা মেরামতের কারিগরদের কাছে। ফলে বৃষ্টি এলেই ছাতা মেরামতের ধুম পড়ে যায়। বেড়ে যায় ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা। এমন দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার পুরাতন স্বপন সিনেমার হল সংলগ্ন বাজার রোড এলাকায়। উপজেলার কালিশুরী, কালাইয়া, নুরাইনপুর ও বগা বন্দরসহ বিভিন্ন বাজর ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র।
বর্ষার সময়ে ছাতা হাতে বের হলেও রোদ উঠলেই ছাতা নেয়ার কথা আর মনে থাকে না অনেকের। আবার বছরের বেশীরভাগ সময় ছাতা ব্যবহারের অভ্যাস না থাকায় অনেক সময় ছাতা হারিয়েও ফেলেন কেউ কেউ। বর্ষা চলে গেলে আবার কিছু দিনের জন্য ছাতার কদর ফুড়িয়ে যায়। অনেকটা সময় জুড়ে ঘরের কোনেই থাকে পড়ে। হয়তো কোথাও ঝুলিয়ে রাখা হয়। প্রকৃতিতে যেই বৃষ্টি ঝরার পালা শুরু হয় তখনই খোঁজ নেয়া হয় কোথায় আছে বৃষ্টির বন্ধু ছাতাটি।
ছাতা মেরামতে বহু বছরের অভিজ্ঞ বাউফল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা ছাতা মেরামতের কারিগর আঃ গনি জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি এ পেশার সঙ্গে জড়িত। বছরের ছয় মাস এ পেশায় থাকেন আর বাকি মাসগুলো তালা ও চার্জার লাইট মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি দৈনিক ১০ থেকে ১৫টি ছাতা মেরামত করে থাকেন। দৈনিক ৫শ’থেকে ৭’শ টাকা আয় করেন তিনি। এবার করোনার কারণে কাজ একটু কম বলে জানান আঃ গনি। এ সময়ে তিনি আরোও বলেন, ছাতা মেরামতের সময় কোন জিনিস ফেলে দেওয়া হয় না। নতুন করে পয়েন্ট দেয়ার পর ওই ভাঙ্গা টুকরা রেখে দেয়া হয়। যাদের ছাতায় সমান্য খুত আছে সেখানে তা বসিয়ে দেয়া হয়। আরেক ছাতা কারিগর হেমায়েত বলেন, আমি এ পেশায় ২০/২৫ বছর আছি। বছরের এ সময়ে আয় বেশি হতো। কিন্তু এখন করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাই এবার রোজগার কম হচ্ছে।
ছাতা ক্রেতা কালাইয়া ইউনিয়নের জালাল শরীফ জানান, কখন বৃষ্টি নামবে কেউ জানে না। এ সময়ে ছাতা না থাকলে কি আর চলে। তাই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়াতে নতুন একটি ছাতা ক্রয় করেছি। ছাতা মেরামত করতে আসা উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন মাতুব্বর জানান, একটি ছাতা এক বছরও যাচ্ছে না। তাই বর্ষা শুরু হওয়াতে পুরাতন ছাতাটিও মেরামত করার পাশাপাশি নতুন আরেকটি ছাতা ক্রয় করার কথা ভাবছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com