মনপুরা প্রতিনিধি ॥ ভোলার মনপুরায় সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জোবায়ের হাসান শাকিলকে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলায় কর্মরত অবস্থায় ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি টিম গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এ দিকে ব্যাংকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি না নিয়ে কর্মরত অবস্থায় একজন অফিসারকে আটক করায় সোনালী ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারকে আটকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ব্যাংক ম্যানেজার ও পুলিশের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। রোববার দুপুর ১টায় সোনালী ব্যাংক, মনপুরা শাখায় কর্মরত অবস্থায় ওই সিনিয়র অফিসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মনপুরা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার রাসেদ মাহমুদ জানান, কর্মরত অবস্থায় মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি টিম এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তারা আমাদের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়নি। তবে একটি কাগজ রেখে গেছে যেখানে পুলিশের কর্মকর্তাদের সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ টিমের এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় ওই অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি নেয়া হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী শশী বিনতে সামাদ জানান, ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকার মিরপুরের শেওড়াপাড়া কাজী অফিসে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে আমাদের বনিবনা হচ্ছিল না। সে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করা শুরু করে। তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আমি নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়ের করি। এই ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক ভোলা জেলার এজিএম আবুল কালাম আজাদ মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে জানান, মনপুরা শাখায় কর্মরত অফিসারকে আটকের বিষয়টি তিনি ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কেউ জানে না। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের কর্তব্যরত অবস্থায় আটক করতে কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক সময় শুনেছি অনুমতি লাগে, আবার কেউ বলছে লাগে না। তারপরও বিষয়টি দেখছি।
Leave a Reply