দখিনের খবর ডেস্ক ॥ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মনপুরা-চরফ্যাশন নৌরুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন লঞ্চ মালিকরা। ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক জরিমানা আদায়ের পরও আইনের তোয়াক্কা না করে প্রতিদিনই আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে হেনস্তার স্বীকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এমন আচরনে সাধারণ যাত্রী ও সচেতন মহলের মনে প্রশ্ন হচ্ছে-‘লঞ্চ মালিকদের এত ক্ষমতার উৎস কোথায়? জানা যায়, (গত ১৯ মে বুধবার) মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মাত্রারিক্ত ভাড়া আদায়ের কারনে মনপুরা টু চরফ্যাশনে নৌ রুটের লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে নগদ ৩০,০০০ টাকা জরিমানা করেন এবং অতিরক্ত টোল আদায় করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মাথাপিছু ভারা নির্ধারণ করে দেন ৮০ টাকা। কিন্তু একদিন না যেতেই আবারো ১২০ টাকা করে ভাড়া আদায় করে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে! এমনকি অনেক যাত্রীরা ১২০ টাকা ভারা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সাথে খারাপ আচরণ এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে যাত্রীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মাঝপথ থেকে নৌ রুটের মালীক কর্তৃপক্ষ লঞ্চ ঘুরিয়ে পুনরায় বেতুয়া ঘাটে নিয়ে আসেন। ভুক্তভোগী সাধারণ যাত্রীরা জানান, বেতুয়া লঞ্চ ঘাট থেকে মনপুরা জনতা বাজার লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত মাত্র ৪৫ মিনিটের পথ, যেখানে লকডাউনের আগেও ৮০ টাকা ভাড়া ছিল লকডাউনের সুযোগ নিয়ে গরিবের চামড়া দিয়ে জুতা সেলাই করার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যবিধির কোন তোয়াক্কা না করেই মন মত আরো ৪০ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি করে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে এখন ১২০ টাকা নিচ্ছে। সাধারণ জনগণ ভোলা জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়দের সু- দৃষ্টি কামনা করে বলেন, রক্তচোষা লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষের শোষণের হাত থেকে চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার মানুষ যেন অচিরেই মুক্তি পেতে পারে তার পদক্ষেপ নেয়ার বিনীত অনুরোধ করছেন ভুক্তভোগী সাধারণ যাত্রীরা। এ বিষয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
Leave a Reply