আঞ্চলিক প্রতিবেদক ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় রাতের আধারে পেট্রোল দিয়ে বিষ্ণু মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বিত্তরা। এতে মন্দিরে স্থাপিত কষ্টি পাথরের বিষ্ণু দেবের বিগ্রহ অক্ষত থাকলেও মন্দিরের ব্যবহৃত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলার ১নং রাজিহার ইউনিয়নের পশ্চিম গোয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন শ্রী শ্রী বিষ্ণু মন্দিরে বুধবার গভীর রাতে দুর্বিত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এসআই দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজিহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপাধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন সিকদার, ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বক্তিয়ার শিকদার, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সাইদুল সরদার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় বিজন হালদার, মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আদিত্য রঞ্জন মন্ডলসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার ঘটনাস্থ পরিদর্শন করে স্থানীয় রেঅকজনের সাথে কথা বলেছেন। পুলিশের উপস্থিতিতে মন্দিরের পাশের বাড়ির প্রত্যক্ষদর্শী সনাতন মোড়লের ছেলে কৃষ্ণ কান্ত মোড়ল জানান, রাত দুইটার দিকে প্রকৃতির ডাকে সে ঘরের বাইরে এলে মন্দিরে আগুন জ্বলতে দেখে তিনি দৌড়ে মন্দিরে উপস্থিত হয়ে ডাক চিৎকার দিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করেন। এসময় তার ডাক চিৎকারে পাশ্ববর্তি লোকজনও ছুটে এসে আগুন নেভায়। আগুনে মন্দিরের ব্যবহৃত জিসিনপত্র পুড়ে গেলেও মন্দিরে স্থাপিত কষ্টি পাথরের বিষ্ণু দেবের বিগ্রহ অক্ষত রয়েছে। এসআই দেলোয়ার জানান, ওই মন্দিরের একটি কক্ষে কষ্টি পাথরের বিষ্ণু দেব, একটিতে কালী প্রতীমা ও অন্যটিতে শীতলা দেবীর পূজা অর্চণা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। মন্দিরের দেব দেবীর প্রতীমা তালাবদ্ধ অবস্থায় সুরক্ষিত থাকলেও দুর্বিত্তরা মন্দিরের বারান্দায় রাখা খর কুটো গ্রীলের ফাঁকা দিয়ে বিষ্ণু দেবের কক্ষে ঢুকিয়ে তাতে পেট্রোল দিয়ে অগ্নি সংযোগ করেছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পেট্রোলের পত্যিাক্ত বোতল উদ্ধার করেছে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা জানান, এঘটনায় মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
Leave a Reply