নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ সকাল ১১:০০ ঘটিকায় বিএমপি’র নবনির্মিত এয়ারপোর্ট থানা ভবনে আয়োজিত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মাননীয় পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার । অনুষ্ঠানের শুরুতে যথারীতি বিগত ওপেন হাউজ ডে তে আগত ভুক্তভোগী জনসাধারণের উত্থাপিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানকল্পে এয়ারপোর্ট থানা তথা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট অফিসারগনকে ভুক্তভোগী জনগণের সমস্যা সমাধান কল্পে কি কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হয়েছে সেই সংক্রান্তে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে একটি বিবরণী (মিউনিট) জবাবদিহিতার সাথে আগত সর্বসাধারণের সামনে পাঠ করে শোনানো হয়। এ সময় পুলিশ কমিশনার বলেন, ওপেন হাউজ ডে হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে জনগণের সাথে পুলিশের যোগাযোগ স্থাপনের একটি সেতুবন্ধন। তাই ওপেন হাউজ ডে তে, উত্থাপিত বিষয়গুলো আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে থাকি। এরমধ্যে আমরা তিনটি বিষয়ের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকি।
১) ভুক্তভোগীদের উত্থাপিত সমস্যা শুনে তা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
২) সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এলাকা ভিত্তিক, সামাজিক নানান ধরনের অসংগতি ও সমস্যা শুনে সেগুলোর সমাধান কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩) পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যে কোনো অনিয়ম ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী অভিযোগ থাকলে তা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
অতঃপর উপস্থিত ভুক্তভোগী জনসাধারণ পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নিকট নানান বিষয়ে তাদের সমস্যা তুলে ধরেন। পুলিশ কমিশনার মহোদয় উত্থাপিত সমস্যার সমাধান কল্পে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন, যাহার বাস্তবায়ন পরবর্তী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ওপেন হাউজ ডে তে আগত সর্বসাধারণের সামনে পর্যালোচনা করা হবে। বিএমপি কমিশনার বলেন, সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের ভূমিকা কম নয়। আমরা সুন্দর একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে অনেকদূর এগিয়ে এসেছি আরও অনেকদূর যেতে চাই। এক্ষেত্রে সমাজে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই তা আমাদের নজরে আনুন, এমনকি কোন পুলিশ যদি নিয়মের বাহির থেকে অপরিনামদর্শী কোন কাজ করে তা সর্বাগ্রে গোপনে বা প্রকাশ্যে আমাদের অবগত করুন।
পুলিশ দ্বারা কোন সাধারণ মানুষের মনে আস্থার সংকট তৈরি না হয় বা হয়রানির শিকার না হয় তা শতভাগ নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের স্কুল ভিজিটিং প্রোগ্রাম, কমিউনিটি পুলিশিং -বিট পুলিং সভা কর্যক্রম, সচেতনতামূলক কার্যক্রমগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে সচল রাখলেও করোনা পরিস্থিতি আরও কমে আসলে,আপনাদের সন্তানদের আইন মান্যকারী সু নাগরিক তৈরি করার জন্য পূর্ববর্তী কার্যক্রম আগের মতোই চালু রাখতে চাই। বিএমপি কমিশনার আরও বলেন, সমাজে কোন অপরাধ যেন দানাবাঁধতে না পারে সেই মর্মে দেশ ও জনগণের জন্য অরাজনৈতিক একটি সামাজিক সংগঠন কমিউনিটি পুলিশিং প্লাটফর্ম, এই প্লাটফর্মের যেন অপব্যবহার না হয় সেবিষয়ে বিশেষ খেয়াল রেখে সমাজের কল্যাণে কাজে করতে হবে। বিট এলাকায় কমিউনিটি পুলিশিং তথা সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সহায়তায় বিচক্ষণতার সাথে সামাজিক সমস্যাগুলো অনেকটাই সামাজিক প্রক্রিয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা সম্ভব মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ এনামুল হক ভুক্তভোগীদের উত্থাপিত বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্তে আলোকপাত করার পাশাপাশি অপরাধ নিবারণের জন্য সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে এসে সামাজিক দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ ফারুক হোসেন, সভার সভাপতি অফিসার ইনচার্জ জনাব কমলেশ চন্দ্র হালদার, ট্রাফিক বিএমপি প্রতিনিধি সহ থানার সকল অফিসারবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যবৃন্দ সহ থানা এলাকার সকল শ্রেণী পেশার লোকজন, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মী বৃন্দ।
Leave a Reply